দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনাকে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ বলে দাগালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে বলেই দাবি করলেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে ভুটানের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার রাজধানীতে ঘটা বিস্ফোরণ-কাণ্ডের পর মোদীর সফর ঘিরে একটা অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু সে সব পেরিয়েই ‘ড্রাগনের দেশে’ গেলেন তিনি।
মঙ্গলবার দু’দিনের সফরে ভুটানে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার তিনি সেদেশের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের জন্মদিনে যোগ দেবেন। এই ফাঁকে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন মোদী। ঘুরে দেখবেন সেখানকার বেশ কিছু জনপ্রিয় বুদ্ধ মন্দির। মঙ্গলে ভুটানে গিয়ে ভাষণ পর্বে দিল্লি বিস্ফোরণের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘আজ আমি মানসিকভাবে খুব ভারাক্রান্ত। দিল্লিতে যে ঘটনাটা ঘটল, সেই ঘটনা আমাকে ভিতর থেকে অনেকটাই ভেঙে দিয়েছে। যারা নিজেদের কাছের মানুষদের হারালেন, তাঁদের কষ্ট আমি বুঝতে পারছি। এটা সত্যিই মেনে নেওয়ার মতো নয়।’
উল্লেখ্য়, সোমবার ৬টা ৫২ মিনিটে দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো সংলগ্ন সিগন্যালে ঘটে বিস্ফোরণের ঘটনা। ঘটনাস্থলে থাকা গাড়িগুলিতে পরপর লেগে যায় আগুন। এই ঘটনায় মৃত্য়ু হয় মোট ৮ জনের। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ছুটে আসে দমকল। গোটা এলাকা পুলিশে ছয়লাপ হয়ে যায়। কিন্তু এই বিস্ফোরণ ঘটাল কারা? আত্মঘাতী হামলা নাকি অন্য কোনও তত্ত্ব? বেশ কয়েকটি নাম তদন্তকারীদের মারফৎ উঠে এলেও, এখনও তাতে সিলমোহন দেয়নি পুলিশ। সুতরাং, একটা ধোঁয়াশা থাকছেই।
তবে এই ঘটনার সঙ্গে কেউ যুক্ত থাকলে, তাদের রেহাই দেওয়া হবে না বলেই হুঁশিয়ারি মোদীর। ভুটান থেকে তিনি বলেন, ‘আমি প্রতি মুহূর্তে ঘটনার আপডেট নিচ্ছি। তদন্তকারীরা এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে থাকা মাথাদের ঠিক খুঁজে বের করবে। পাশাপাশি, যারা এর সঙ্গে জড়িত, তারাও যথাযথ শাস্তি পাবে।’ ইতিমধ্যেই সিসিটিভি দেখে ‘ঘাতক’ গাড়ির রোডম্যাপ বিশ্লেষণ করেছে পুলিশ। এমনকি এই ঘটনার সঙ্গে ফরিদাবাদে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনারও কোনও যোগ থাকতে পারে বলেই মনে করছে তাঁরা। এই আবহেই মঙ্গলবার সকালে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।



