হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়ের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস আর কুয়াশার কারণে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বিগত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে। পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা কমে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময়ে বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৮ শতাংশ। যা গত মঙ্গলবার সকালে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ। ফলে সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় চারপাশ। জেলার মাঠ-ঘাট, গ্রামীণ জনপদ থেকে শুরু করে শহরের রাস্তাঘাটও সাদা কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে যায়। দৃশ্যমানতা কয়েক হাত দূরে নেমে আসায় যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়।
অটোচালকেরা জানান, সকালে কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালালেও সামনের রাস্তা দেখা যায় না। এখন সকালে যাত্রীও তেমন পাওয়া যায় না। এক মোটরসাইকেল বলেন, সকালে জরুরি কাজে বের হয়েছি, কিন্তু এই ঠান্ডায় হাত অবশ হয়ে যাচ্ছে মনে হয়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, বর্তমানে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। নভেম্বরের শেষ দিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এরপর ডিসেম্বরজুড়ে পঞ্চগড় ও আশপাশের এলাকায় একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকবে চারপাশ। কোথাও কোথাও দিনের বেলাও কুয়াশা দেখা যেতে পারে। কারণ বাতাসে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প রয়েছে। এর ফলে সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে ঠিকভাবে পৌঁছায় না, ফলে রাতে দ্রুত ঠান্ডা পড়ে এবং ভোরে ঘন কুয়াশা সৃষ্টি হয়। এ ধরনের আবহাওয়া সাধারণত শীত ও গ্রীষ্মের সন্ধিক্ষণে দেখা যায়। তবে এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে জলবায়ুর পরিবর্তন।



