Top Newsজাতীয়

খাদ্যে ‘গোলাপ ও কেওড়া জল’ ব্যবহারে বিএফএসএর সতর্কবার্তা

মোহনা অনলাইন

খাদ্যে অননুমোদিত ‘গোলাপজল’ ও ‘কেওড়া জল’ এর মতো সুগন্ধি ব্যবহারে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ)। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিএফএসএ।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) মোবাইল কোর্টের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, এসব সুগন্ধি খাদ্যে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে, কিন্তু এর মধ্যে মানব শরীরের জন্য বিপজ্জনক রাসায়নিক উপাদান মিশ্রিত রয়েছে।

খাদ্য নিরাপত্তা আইন ও স্বাস্থ্য বিধির বিরুদ্ধে হলেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসব পণ্যের লেবেলে ‘খাবার উপযোগী’, ‘ফুড গ্রেড’, ‘খাদ্য আইন অনুসরণ করে প্রস্তুতকৃত’ এবং ‘ভেজিটেরিয়ান খাদ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করে বাজারজাত ও বিক্রি করা হচ্ছে; যা সুপষ্ট আইনের লঙ্ঘন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গোলাপজল এবং কেওড়া জল নামের এই সুগন্ধি পণ্যগুলোর উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ‘বিশুদ্ধ পানি’ এবং ‘গোলাপ/কেওড়া ফ্লেভার’ বা শুধুমাত্র ‘ফ্লেভার’ হিসেবে উপাদান উল্লেখ করা হলেও, আসলে এর উপাদান ঠিক কী তা স্পষ্ট নয়। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে এই সুগন্ধি প্রস্তুত করতে রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে, যা খাদ্যের জন্য অনুমোদিত নয়।

মোবাইল কোর্টের অভিযানে এই পণ্যের উৎপাদনকারীদের কারখানায় পাওয়া যায়, গোলাপজল ও কেওড়া জল প্রস্তুত করতে এমন রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে, যা কিডনি ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত হয়। এটি একদিকে যেমন মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে, অন্যদিকে খাদ্য আইনের কঠোর লঙ্ঘন ঘটাচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে খাদ্যে ব্যবহার উপযোগী হিসেবে ঘোষিত যে সব সুগন্ধির লেবেলে মোড়কাবদ্ধ খাদ্য লেবেলিং প্রবিধানমালা, ২০১৭ অনুযায়ী ‘অনুমোদিত প্রাকৃতিক’, ‘অনুমোদিত কৃত্রিম’ অথবা ‘অনুমোদিত প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম’ সুগন্ধি অভিব্যক্তি ব্যবহার করা হয়নি এবং কৃত্রিম সুগন্ধির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সুগন্ধি দ্রব্যের সাধারণ নাম ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, ইনডেক্স (আইএনএস) নম্বর উল্লেখ করা হয়নি এমন সুগন্ধি দ্রব্যের উৎপাদন ও বিপণন থেকে বিরত থাকার এবং বাজার থেকে প্রত্যাহারের জন্য সকল খাদ্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেয়া হলো।
 
সব খাদ্য প্রস্তুতকারী/সরবরাহকারীদের (যেমন- রেস্টুরেন্ট, বেকারি, কমিউনিটি সেন্টার, কেটারিং সার্ভিস ইত্যাদি) এ ধরনের কোনো সুগন্ধি খাদ্যে ব্যবহার না করার জন্য নির্দেশনা দিয়ে বিএফএসএ আরও জানায়, জনগণকে এ ধরনের যথাযথ লেবেলিং ব্যতীত সুগন্ধি দ্রব্য খাদ্যে ব্যবহার বা ক্রয় থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দেয়া হলো।
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button