রাজনীতি

শেকৃবিতে পিএইচডি ফেলোশিপ পেলেন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির

মোহনা অনলাইন

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) থেকে পিএইচডি গবেষণার জন্য মর্যাদাপূর্ণ ‘পিএইচডি ফেলোশিপ’ পেয়েছেন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক বি. এম. আলমগীর কবির।
গত ১৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার)  বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের ডিন অধ্যাপক ড. সালাহউদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক আনুষ্ঠানিক চিঠিতে তাঁকে এই সম্মাননা জানানো হয়। তিনি বর্তমানে শেকৃবির কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগে অধ্যয়নরত রয়েছেন।
একটি বিস্তৃত এবং কঠোর যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার পর নির্বাচন কমিটি বি. এম. আলমগীর কবিরকে এই ফেলোশিপের জন্য মনোনীত করে। এই ফেলোশিপের অধীনে গবেষক তাঁর পিএইচডি অধ্যয়নকালীন সময়ের জন্য মাসিক ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) টাকা করে ভাতা পাবেন। এর পাশাপাশি, পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির সময় তাঁকে এককালীন ৬০,০০০ টাকা বেঞ্চ ফি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী অন্যান্য ভাতাও দেওয়া হবে। ফেলোশিপের মোট মেয়াদ ধরা হয়েছে ৩৬ মাস বা ছয় সেমিস্টার।

ফেলোশিপের অর্থ ছাড় এবং চলমান থাকার জন্য গবেষককে বেশ কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। এর মধ্যে প্রধান শর্ত হলো—গবেষণার বিষয়বস্তু সম্পূর্ণ অপরিবর্তনীয় থাকবে এবং তাঁকে প্রতি ছয় মাস অন্তর তাঁর গবেষণা সুপারভাইজারের মাধ্যমে নির্বাচন কমিটির কাছে কাজের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। সন্তোষজনক অগ্রগতি নিশ্চিত হলেই কেবল পরবর্তী কিস্তির অর্থ ছাড় করা হবে। এছাড়া, এই ফেলোশিপের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে গবেষককে নিজ কর্মক্ষেত্র থেকে পূর্ণকালীন ডেপুটেশন বা অধ্যয়ন ছুটি নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি আইনগত বন্ধকী চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে, যেখানে ফেলোশিপের শর্তাবলী ও গবেষণার পরে মূল সংস্থায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেবা প্রদানের অঙ্গীকার থাকবে।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বি. এম. আলমগীর কবির বলেন, “দেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলের নানা ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং কৃষকদের নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা করাই মূল লক্ষ্য।”
তিনি আরও বলেন, “আগামীর বাংলাদেশে রাজনীতি হবে মেধাভিত্তিক ও প্রযুক্তিনির্ভর। সকল শিক্ষার্থীকে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণার দিকে এবং তথ্যনির্ভর পড়াশোনার দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান রইল।”
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button