চার দিনের সফরে আজ ঢাকায় আসছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি বচওয়ে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে তিনি এই সফরে আসছেন।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। এর আগে কমনওয়েলথ মহাসচিব বাংলাদেশ সফরে আসছেন।
বাংলাদেশের জাতীয় পরিক্রমার এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে শার্লি তাঁর এই সফরে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
কমনওয়েলথের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শার্লি তাঁর সফরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি রাজনৈতিক দলের নেতা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনারসহ অন্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আলোচনায় পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে; বিশেষ করে শান্তি, স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র, সুশাসন ও সমৃদ্ধির জন্য জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে বাংলাদেশের ধারাবাহিক জাতীয় অগ্রগতিকে সমর্থন করার লক্ষ্যে চলমান সম্পৃক্ততাকে আরও গভীর করা।
এছাড়া, তিনি কমনওয়েলথের নতুন কৌশলগত পরিকল্পনা (স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান) তুলে ধরবেন, যার তিনটি মূল স্তম্ভের একটি হলো গণতন্ত্র। এছাড়া, তিনি জানবেন বাংলাদেশের জন্য কোন ধরনের সহায়তা সবচেয়ে কার্যকর হতে পারে।
সফরের আগে এক বিবৃতিতে মহাসচিব বচওয়ে বলেন, স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশ কমনওয়েলথে যোগ দিয়েছিল এবং এটি সংগঠনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
তিনি জানান, বিস্তৃত পরিসরের অংশীদারের সঙ্গে কথা বলে তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সরাসরি বোঝার চেষ্টা করবেন এবং পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে সম্ভাব্য সহায়তার ক্ষেত্র নির্ধারণ করবেন।
বচওয়ে বলেন, কমনওয়েলথ ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে, যা আগামী বছরের নির্বাচনের আগে আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমাদের অঙ্গীকার হলো বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করতে পাশে থাকা, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা সম্মানিত হবে।



