Top Newsআন্তর্জাতিক

জোহরান মামদানির সাথে শুক্রবার বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

মোহনা অনলাইন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার (১৯ নভেম্বর) জানিয়েছেন, তিনি আগামীকাল শুক্রবার নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির সাথে বৈঠক করবেন। মামদানির সাম্প্রতিক প্রচারণার সময় ৩৪ বছর বয়সী এই স্বঘোষিত ডেমোক্রেটিকের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন ট্রাম্প।

বুধবার সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প জানিয়েছেন, শুক্রবার নিউ ইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র মামদানির সঙ্গে হোয়াইট হাউসে দেখা করবেন তিনি। আলাদা করে উল্লেখ করে ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই বৈঠকের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন মামদানি নিজেই। সেই মতো বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘নিউ ইয়র্ক সিটির কমিউনিস্ট মেয়র জ়োহরান ‘কোয়ামে’ মামদানি একটি বৈঠকের জন্য অনুরোধ করেছেন। আমরা তাতে রাজি হয়েছি। বৈঠকটি ২১ নভেম্বর, শুক্রবার, ওভাল অফিসে অনুষ্ঠিত হবে। আরও বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে!’’

আমেরিকার রাজনীতিতে বামঘেঁষা ডেমোক্র্যাট বলে পরিচিত মামদানি। আফ্রিকা মহাদেশের উগান্ডায় জন্ম হলেও তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ভারতীয় চিত্রপরিচালক মীরা নায়ার এবং উগান্ডার খ্যাতনামী লেখক মাহমুদ মামদানির পুত্র তিনি। এ হেন মামদানিকে নিয়ে নির্বাচনের আগে থেকেই সমালোচনা করে আসছেন ট্রাম্প। ৪ নভেম্বরের নির্বাচনের প্রাক্কালে ট্রাম্প এ-ও বলেছিলেন, মামদানির জয় হলে তা নিউ ইয়র্কের জন্য ‘সম্পূর্ণ ভাবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিপর্যয়’ হবে।

“যদি নিউ ইয়র্ক কমিউনিস্ট মেয়র বেছে নেয়, তা হলে আমি ওই শহরের জন্য ফেডারেল অর্থবরাদ্দ বন্ধ করে দেব, যত ক্ষণ না আইন আমাকে তা দিতে বাধ্য করছে।” অবশ্য সে সবে লাভ হয়নি। ট্রাম্পের ধারাবাহিক আক্রমণের পর ট্রাম্পেরই দলের প্রার্থীকে শোচনীয় ভাবে হারিয়েছেন মামদানি। ডেমোক্র্যাট শিবিরের মনোনীত প্রার্থী মামদানি পেয়েছেন ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট। সেখানে রিপাবলিকান প্রার্থী কুর্টিস স্লিওয়া ভোট পেয়েছেন মাত্র ৭ শতাংশ! মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর মার্কিন প্রেসিডেন্টকে খোঁচা দিয়ে মামদানি বলেছেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প, আপনাকে আমি চারটি শব্দ বলতে চাই— আরও জোরে চিৎকার করুন!”

অবশ্য তার পর খানিক সুর নরম করেছেন ট্রাম্প। মামদানির সঙ্গে তিনি কি যোগাযোগ করবেন, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘‘মামদানির আমাদের সঙ্গে সত্যিই যোগাযোগ করা উচিত। আমি এখানেই রয়েছি। দেখা যাক কী হয়। তবে আমার মনে হয়, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করাই ওঁর জন্য ভাল হবে।’’ ট্রাম্প আরও জানিয়েছিলেন, তিনি ‘খুবই ক্ষুব্ধ’! কারণ, তিনি নিউ ইয়র্ককে ভালবাসেন। নতুন মেয়রকে ভাল কাজ করতে দেখতে চান বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button