ভোট দিয়ে ঘোষণাপত্রে যথাযথ স্বাক্ষর না থাকলে পোস্টাল ব্যালাটের ভোট ‘বাতিল করবে’ রিটার্নিং অফিসার। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি ভোটারদের পোস্টাল ব্যালটের (আইটি সাপোর্টেড) মাধ্যমে ভোটদানের জন্য নিবন্ধন শুরু হয়েছে।
বুধবার এ লক্ষ্যে পোস্টাল ভোটিং নিয়ে পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। সংস্থাটির উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের সই করা পরিপত্রে পোস্টাল ভোটিংয়ের নিয়ম তুলে ধরা হয়েছে।
নিবন্ধন পদ্ধতি
-
ভোট দিতে যে দেশ থেকে আবেদন করবেন, সেই দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।
-
Google Play Store বা App Store থেকে ‘Postal Vote BD’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।
-
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে নির্দেশনা অনুসারে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
-
OTP, Liveliness ও NID যাচাইয়ের মাধ্যমে নিবন্ধন নিশ্চিত হবে।
-
বিদেশের ঠিকানা যথাযথ ও প্রমাণযোগ্য হতে হবে।
ভোট প্রদানের নিয়ম
-
ব্যালটে প্রতিটি প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে (✓) বা (×) চিহ্ন দিতে হবে।
-
ঘোষণাপত্রে ব্যালট পেপারের ক্রমিক নম্বর, ভোটারের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর লিখে স্বাক্ষর করতে হবে।
-
নিরক্ষর বা অক্ষম ভোটার বৈধ একজন ভোটারের সহায়তায় সত্যয়নপত্র পূরণ করতে পারবেন।
-
ঘোষণাপত্র ছাড়া কোনো ব্যালট গ্রহণযোগ্য হবে না।
-
ব্যালট পেপার ছোট খামে রেখে বন্ধ করে, এরপর ঘোষণাপত্রসহ বড় খামে ঢুকিয়ে ডাকযোগে পাঠাতে হবে।
ব্যালট গ্রহণ ও সংরক্ষণ
রিটার্নিং অফিসার ডাকযোগে প্রাপ্ত খামগুলোর QR কোড স্ক্যান করে রেকর্ড রাখবেন।
-
স্বাক্ষরবিহীন ঘোষণাপত্রযুক্ত খাম বাতিল হিসেবে সংরক্ষণ করবেন।
-
বৈধ ঘোষণাপত্রসহ খামগুলো আলাদা বাক্সে গণনার জন্য রাখবেন।
পোস্টাল ব্যালট গণনা
-
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৃথক গণনা কক্ষ থাকবে।
-
গণনায় প্রার্থী, এজেন্ট, গণমাধ্যমকর্মী ও পর্যবেক্ষক উপস্থিত থাকতে পারবেন।
-
বৈধ ভোট প্রার্থীভিত্তিক আলাদা করে গণনা করা হবে।
-
চিহ্ন অস্পষ্ট হলে ব্যালটটি বাতিল হবে।
-
গণনা শেষে সাধারণ কেন্দ্রের মতোই ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
-
পোস্টাল ব্যালটের ভোটের হিসাব একীভূত না করলে কোনো অবস্থাতেই চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা যাবে না।



