ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরশেনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকার বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের সমন্বয়ে ‘ঢাকা শহরের বাড়ি ভাড়া’ সংক্রান্ত প্রথমবারের মতো বৈঠক করবে সংস্থাটি। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
এর আগে ডিএনসিসির সচিব মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান এ বিষয়ে একটি সভা আয়োজনের জন্য নোটিশ প্রদান করেছেন।
সচিব মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরশেনের আওতাধীন এলাকার বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের সমন্বয়ে ‘ঢাকা শহরের বাড়ি ভাড়া’ সংক্রান্ত গোল টেবিল বৈঠক আগামী ২৭ নভেম্বর দুপুর দেড়টায় নগর ভবনে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৫ বছরে রাজধানীতে বাসা ভাড়া বেড়েছে প্রায় ৪০০ শতাংশ। একই সময়ে নিত্যপণ্যের দাম যতটা বেড়েছে, সেই তুলনায় বাসা ভাড়া বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
সংগঠনটির অন্য এক পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকার ২৭ শতাংশ ভাড়াটিয়া আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ, ৫৭ শতাংশ ভাড়াটিয়া প্রায় ৫০ শতাংশ, ১২ শতাংশ ভাড়াটিয়া আয়ের প্রায় ৭৫ শতাংশ ব্যয় করেন বাসা ভাড়া পরিশোধে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খাদ্যনিরাপত্তা পরিসংখ্যান-২০২৩ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সিটি কর্পোরেশনগুলোতে বসবাসকারীদের মধ্যে ৭২ শতাংশই ভাড়া বাসায় থাকেন। এসব এলাকায় নিজের বাসায় থাকেন মাত্র ২৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ মানুষ। সিটি কর্পোরেশনের বাইরে অন্য শহরে বসবাসকারীদের মধ্যে ভাড়ায় থাকেন ১৮ শতাংশ।
বিবিএসের তথ্যও বলছে দেশে বাসা ভাড়া বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর সময়ে শহরে বাসা ভাড়া বেড়েছে ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। দেশের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ মানুষ ভাড়া বাসায় থাকেন। যার মধ্যে গ্রামে ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ, শহরে ১৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ আর সিটি কর্পোরেশনে ৭২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। আর দেশে ভাড়া ছাড়াই থাকেন ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ মানুষ।



