আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, বিচার ব্যবস্থায় বিভিন্ন সংস্কারের কারণে আগামী ৫ বছরে মামলার সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমবে। তিনি বলেন, সংস্কার মানে শুধুমাত্র সংবিধানের পরিবর্তন নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের মাত্র ২১টি সংস্কারই ভবিষ্যতে মামলার সংখ্যা কমাতে সহায়তা করবে।
ড. আসিফ নজরুল এ মন্তব্য করেন সোমবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে অনুষ্ঠিত ই-পারিবারিক আদালতের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সংস্কার বাস্তবসম্মত হতে হবে। অতিরিক্ত সংস্কারের ফলে যদি রাষ্ট্র কাঠামো দুর্বল হয়, তবে তা ক্ষতিকর হতে পারে। এজন্য প্রতিটি সংস্কার প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে বাস্তবায়ন করা হয়।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
ই-পারিবারিক আদালত পাইলট প্রকল্প হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম আদালতে চালু করা হয়েছে। এতে ভুক্তভোগীরা অনলাইনের মাধ্যমে মামলা দায়ের করতে পারবেন এবং পুরো বিচার প্রক্রিয়া অনলাইনেই সম্পন্ন হবে। বিচার প্রক্রিয়াকে দ্রুত, স্বচ্ছ ও সহজতর করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা জানান, এই নতুন ব্যবস্থা বিচার ব্যবস্থার দক্ষতা বাড়াবে এবং মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমাবে। ভবিষ্যতে দেশব্যাপী ই-পারিবারিক আদালত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “যেখানে অনলাইন ব্যবস্থার মাধ্যমে মামলা দ্রুত সমাধান হবে, সেখানে সাধারণ মানুষ আদালতের প্রতি আস্থা ফিরে পাবে এবং দীর্ঘস্থায়ী মামলা নিরসন হবে। এটি দেশের বিচার ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করবে।”
ড. আসিফ নজরুলের মতে, বর্তমানে বিচার ব্যবস্থার বিভিন্ন স্তরে সংস্কারের মাধ্যমে কার্যকারিতা বাড়ানো সম্ভব। অনলাইন আদালত কার্যক্রম একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে, যা আগামী দিনে অন্যান্য আদালতের জন্য মানদণ্ড স্থাপন করবে।



