টানা সোয়া ৫ ঘণ্টা দাউ দাউ করে জ্বলার পর নিভল মহাখালীর কড়াইল বস্তির আগুন। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগার প্রায় ৪৫ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিস পৌঁছাতে সক্ষম হয়। এ কারণে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো রাস্তায় ছিল যানজটে আটকা।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন জানান, রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তিনি বলেন, বস্তির ঘিঞ্জি এলাকা এবং পানির সমস্যা থাকায় আগুন নেভানোতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। তবে ১৯টি ইউনিট কাজ করেছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করায় বস্তির শতাধিক ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আগুনে ঘর হারানো লাভলী বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সাত বছর ধরে এই বস্তিতে আছি। কিস্তিতে কেনা সব জিনিস চোখের সামনে পুড়ে গেল। এখন আমাদের পথে বসতে হবে। কিস্তিতে কেনা জিনিস, কিছু জমানো টাকা, কাপড় সব কিছু পুড়ে গেছে। এখন আমাদের বাচ্চারা কোথায় ঘুমাবে, আমরা জানি না। পানিতে ভেজার কারণে তারা শীতে কাঁপতে শুরু করেছে। আমরা সাহায্য চাই, নিরাপদ আশ্রয় চাই।
শামসুল ইসলাম নামে আরেক দিনমজুর গণমাধ্যমকে জানান, মাত্র দুই মাস আগেই তিনি এই বস্তিতে উঠেছেন। তিনি বলেন, আগুনে আমার নতুন জিনিসপত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন এত তীব্র ছিল যে আমরা কোনো জিনিসই রক্ষা করতে পারিনি। চারিদিক ধোঁয়া আর আগুনে ঘিরে আমাদের বের হতে অনেক কষ্ট হয়েছে।



