ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। এবার ভোটের দিনক্ষণ নির্ধারণের পালা। ইতিমধ্যেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার কথা জানিয়েছেন।
নির্বাচনের জন্য ৩৪ হাজার মনোনয়নপত্র, লাখ লাখ ফরম, পরিচয়পত্র ও নির্বাচনী প্যাকেটের ছাপানোর কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে মোট ২৫ কোটি ৫৪ লাখ ব্যালট প্রিন্ট করা হবে। ইসি সূত্র জানায়, আইন ও বিধি সংশোধনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন যাবতীয় নির্বাচনী সামগ্রী ছাপানোর কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩৪ হাজার মনোনয়নপত্র, প্রায় ৫ লাখ ফরম, এবং ১০ হাজার প্রতীকের পোস্টার। নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় ২০ লাখ বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটের মধ্যে ১৭ লাখ ইতোমধ্যেই প্রস্তুত।
পর্যবেক্ষক নীতিমালা ১০ হাজার পিস, প্রিজাইডিং অফিসারদের জন্য ৪৩ হাজার পরিচয়পত্র, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের জন্য ৩ লাখ এবং পোলিং অফিসারদের জন্য ৬ লাখ পরিচয়পত্র ছাপানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া পোলিং এজেন্টদের জন্য ৩২ লাখ পরিচয়পত্রের কাজও শেষ হয়েছে।
ছাপার কাজ ও প্রস্তুতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাউসদ বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা হবে আর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হবে।’
বাংলাদেশে এর আগে ১৯৭৭, ১৯৮৫ ও ১৯৯১ সালে তিনটি গণভোট হয়েছে। তবে কখনো জাতীয় নির্বাচনের দিনে গণভোট হয়নি। একদিনে দুই ভোটের সিদ্ধান্তের পর অপ্রত্যাশিতভাবে ইসি’র কর্মপরিধি দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে সীমানা পুনঃনির্ধারণ, ভোটকেন্দ্রের তালিকা, ভোটার তালিকা, নতুন রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন ও প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ- সবই শেষ হয়েছে। ইসি’র প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবার দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার। যার মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন, নারী ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার ১ হাজার ২৩৪ জন। এর সঙ্গে যুক্ত হবেন প্রায় ১০ লাখ প্রবাসী ভোটার। এসব ভোটার প্রথমবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেবেন। সব মিলিয়ে ইসিকে সামলাতে হবে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ।



