সুন্দরবন উপকূলে অবাধে শাপলাপাতা ও হাঙর মাছ শিকার
সুন্দরবন উপকূলে অবাধে শিকার করা হচ্ছে শাপলাপাতা ও হাঙর প্রজাতির বিভিন্ন মাছ। মৎস্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রজননক্ষম হওয়ার আগেই শিকার করায় এসব মাছের অস্তিত্বই হুমকিতে পড়বে। পাশাপাশি, সমুদ্রে মাছের ভারসাম্য নষ্ট হবে বলেও মনে করছেন তারা। তবে, এসব মাছ শিকার বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে বন বিভাগ।
শাপলাপাতা ও হাঙর জাতীয় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রতিদিন সুন্দরবন এলাকায় অর্ধলক্ষ ছোট হাঙর ধরা হচ্ছে। শুটকি করার জন্য এসব কাটা হচ্ছে বরগুনার পাথরঘাটায় বিষখালি ও বলেশ্বর নদীর পাড়ে। স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই এ অবৈধ কাজ করছেন শুটকি পল্লীর মালিকরা। আর, অসাধু ব্যবসায়ীরা বলছেন, জেলেদের কাছ থেকে কিনেই তারা ছোট হাঙর আর শাপলাপাতার শুটকি তৈরি করেন।
এ অবস্থা চলতে থাকলে সমুদ্রে মাছের ভারসাম্য নষ্ট হবে বলে জানালেন বিশেষজ্ঞ মীর মোহাম্মদ আলী,সহকারী অধ্যাপক,ফিশারিজ,একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সায়েন্স, শেকৃবি ।
বন্যপ্রাণি আইন বহির্ভুত কার্যকলাপে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মনিরুল হক,রেঞ্জ কর্মকর্তা পাথরঘাটা বরগুনা।
তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীর সাগর ও লোনা পানিতে প্রায় ১২ হাজার প্রজাতির হাঙর ও ১৬ প্রজাতির শাপলাপাতা রয়েছে। তবে বাংলাদেশে ৫ শ্রেণির ৭১ প্রজাতির হাঙর এবং ৮ থেকে ১০ প্রজাতির শাপলাপাতা মাছ পাওয়া যায়।