উত্তর কোরিয়ায় প্রথম কোভিড-১৯ আক্রান্তের খবর পাওয়ায় দেশব্যাপী লকডাউনের নির্দেশ
উত্তর কোরিয়ায় প্রথম কোভিড-১৯ আক্রান্তের খবর পাওয়ায় দেশব্যাপী লকডাউনের নির্দেশ
উত্তর কোরিয়া বৃহস্পতিবার প্রথম কোভিড –১৯ আক্রান্ত নিশ্চিত করেছে, এটিকে গুরুতর জাতীয় জরুরি অবস্থা বলে অভিহিত করা হয়েছে এবং দেশব্যাপি লকডাউনের আদেশ দেয়া হয়েছে।
কোভিড সংক্রমণের প্রথম জনসাধারণের ভর্তি এমন একটি দেশে একটি বড় সংকটের সম্ভাবনাকে হাইলাইট করে যেখানে চিকিৎসা সংস্থানের অভাব রয়েছে এবং টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এর সীমানা বন্ধ রেখেছে।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে মার্চ পর্যন্ত, উত্তর কোরিয়ায় কোভিড –১৯ এর কোনও ঘটনা রিপোর্ট করা হয়নি এবং টিকা দেওয়া হয়েছে এমন কোনও সরকারী রেকর্ড নেই।
8 মে পিয়ংইয়ং–এর জনগনের যারা জ্বরে ভুগছিল তাদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তাতে ওমিক্রন ভাইরাসের একটি উপ–ভেরিয়েন্ট দেখা গেছে, যা BA.2 নামেও পরিচিত।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বৃহস্পতিবার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির শক্তিশালী পলিটব্যুরোর একটি বৈঠক ডেকেছেন, দেশব্যাপী একটি “কঠোর লকডাউন” এবং জরুরি রিজার্ভ চিকিৎসা সরবরাহের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখা গেছে, কিম একটি ডিসপোজেবল ফেসিয়াল মাস্ক পরে পলিটব্যুরোর বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। এই ধরনের মিটিং বা অন্যান্য ইভেন্টের অতীতের ফুটেজে দেখা যায় তিনি ছাড়া সবাই মুখোশ পরেছিলেন।
সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে যে পিয়ংইয়ং কতৃপক্ষ লকডাউনের বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে বিবিচনা করছে ।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়া কখনই আনুষ্ঠানিকভাবে কোভিড –১৯ সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার, চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে যে উত্তর কোরিয়া মঙ্গলবার থেকে তার লোকদের বাড়িতে থাকতে বাধ্য করেছে কারণ অনেকেরই “সন্দেহজনক ফ্লু লক্ষণ” রয়েছে, কোভিড –১৯ উল্লেখ না করেই।
ডব্লিউএইচও–এর সর্বশেষ ডেটা অনুযায়ী দেখা যাই যে, উত্তর কোরিয়ার ২৫ মিলিয়ন লোকের মধ্যে ৬৪২০৭ জসের কোভিড –১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে এবং ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত সকলেরই করোনা নেগেটিভ রেজাল্ট এসেছে ।