
কলকাতার খ্যাতনামা অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীর একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি দেওয়া ওই পোস্টে তিনি ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে নাম না করে ইঙ্গিত করেন সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষকে উদ্দেশ্য করে।
ঋত্বিক লেখেন, “ধরুন একটা গাধার নাম দিলেন ময়ূর, আর তাকে রঙিন করতে পাশে বসালেন রঞ্জন, তাহলে পুরোটা হল ময়ূররঞ্জন।”
এই বক্তব্যে নাম প্রকাশ না করলেও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয় যে, মন্তব্যটি স্পষ্টভাবে ময়ূখ রঞ্জন ঘোষকে লক্ষ্য করেই করা হয়েছে। দুই বাংলার নেটিজেনরা বিষয়টি নিয়ে বিস্তর প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।
অনেকে অভিনেতার বক্তব্যকে ‘অশোভন’ ও ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, “সব ঋত্বিক দেশের মুখ উজ্জ্বল করেন না।” আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, “রেডিওর আকাশবাণীই ভালো ছিল, টিভিতে খবর পড়ার প্রচলনই ঠিক হয়নি।”
এছাড়া আরও কেউ কেউ লিখেছেন, “এসব বলে বাংলাদেশে ব্যবসা বাড়ানোর ধান্দা। নিজের স্বার্থ পূরণ হলেই দায় শেষ।” অন্যজন মন্তব্য করেন, “ময়ূখরঞ্জন ঐ চ্যানেলের বেতনভুক্ত কর্মী। ভদ্রলোক বাজার বুঝে রিপোর্ট করেন।” কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, “সংবিধান অবমাননার দায়ে কেস হচ্ছে না কেন? এইসব ‘মাল’দের জনসমক্ষে রাখাটাই বিপজ্জনক।”
ঘটনার পর এখনও পর্যন্ত ঋত্বিক চক্রবর্তী বা ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ—কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।
তবে বিষয়টি ঘিরে সাংবাদিকতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং একজন জনপ্রিয় অভিনেতার দায়িত্ববোধ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক ও আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—জনপ্রিয়তার প্রভাব থাকলে কি এভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা গ্রহণযোগ্য?
উল্লেখ্য, ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ বর্তমানে ভারতের একটি প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমে কর্মরত এবং দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক নানা ইস্যুতে তার বিশ্লেষণমূলক রিপোর্ট আলোচনায় এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারই কোনও প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য করেছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী।