শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সেতু বিধ্বস্ত হওয়ায় দুর্ভোগের শিকার গ্রামবাসীরা
শেরপুর প্রতিনিধি: রেজাউল করিম বকুল
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মালিঝি নদীর ড্যাইনেরপাড় কাঠের সেতু ভেঙ্গে খালে পড়েছে । গত ৯ জুন পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে সেতুটি বিধ্বস্ত হয়। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে ৬ গ্রামের মানুষের পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গ্রামবাসীরা জানান, নয়াপাড়া, টাঙ্গারীপাড়া, বাইতেগাঁও, হাসলিগাঁও, কুরুলিয়া কান্দাপাড়া, ড্যাইনেরপাড়সহ ৬ গ্রামের শতশত মানুষ এ নদীর ওপর দিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। ব্রীজ নির্মাণ না হওয়ায় মানুষের চলাচলের জন্য নির্মাণ হয় কাঠের সেতু। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন চরম ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতো শতশত মানুষ। ড্যাইনেরপাড় গ্রামের হামিদ মিয়া বলেন, ৬ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাগবে স্থানীয় প্রশাসন গত বছর একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে। এ সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করে আসছিল স্থানীয়রা। গত ৯ জুন পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে সেতুটি বিধ্বস্ত হয়। এতে এলাকার সাথে উপজেলা সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নয়াপাড়া গ্রামের আনছার আলী বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুটি আর মেরামত করা হয়নি। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ৬ গ্রামের মানুষ। পথচারীরা বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত প্রায় দুই মাসেও বিধ্বস্ত সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ জন্য তারা বিধ্বস্ত সেতুর পাশ দিয়ে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে জীবনের ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করে আসছেন । তবে কোমলমতি শিশু কিশোররা এ সাঁকোতে পারাপার হতে পারে না। এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পন্য ও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তোতা বলেন, দেশ স্বাধীনের পর থেকেই মালিঝি নদীর ড্যাইনের পাড়ে সেতু নির্মানের দাবি তুলে আসছেন গ্রামবাসীরা । এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় আবেদন করা হয়েছে। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু দীর্ঘ ৫০ বছরেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, ব্রীজ নির্মাণ জরুরি। এখানে ব্রীজ নির্মাণ হলে ৬ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাগব হবে। উন্নয়নে যোগ হবে নতুন মাত্রা। এ জন্য তিনি জরুরি ভিত্তিতে ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানান। উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। সরেজমিন দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।