নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত স্বাভাবিক হলওে কাটেনি আতংক !
রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবান প্রতিনিধি
গত কয়েকদিন যাবত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ভারী অস্ত্রের গোলা বর্ষণ,মর্টার শেলের আওয়াজ আর সীমান্ত এলাকায় হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়ার কারণে এখনো আতংকে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে গোলাবারুদ এবং গুলি নিক্ষেপ এর পর থেকে এলাকায় আতংক বাড়ে আরো দ্বিগুন,অনেকে আতংকে এলাকার বাইরে অবস্থান করছে।
এর আগে গত রোববার (২৮ আগস্ট) তুমব্রু এলাকায় মিয়ামারের দুটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেলের গোলা এসে পড়লে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়,পরেআইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত মর্টার শেল দুটি উদ্ধার করে। ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারের রাস্ট্রদূতকে ডেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
এদিকে কয়েকদিন ধরে তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় হেলিকপ্টার থেকে গুলি ও মটর শেল নিক্ষেপের মত ঘটনা ঘটলেও আজ রবিবার সকাল থেকে সীমান্তের পরিস্থিত স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকে অপ্রীতিকর কোন ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি এবং সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান মো.জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, কয়েকদিন ধরে সীমান্তের পরিস্থিতি খুব খারাপ থাকলেও সকাল থেকে সীমান্তে কোন গোলাগুলি হয়নি এবং হেলিকপ্টারের শোডাউন দেখা যায়নি। তিনি আরো জানান,পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে তবে জনমনে আতংক বিরাজ করছে। চেয়ারম্যান আরো জানান, সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সর্তকবস্থায় রয়েছে।
প্রসঙ্গত,গত কয়েদিন ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু, রেজু আমতলী, বাইশফাঁড়ি, তুইঙ্গাঝিরি, গর্জনবুনিয়া ও রেজু পাড়াসহ ঘুমধুমের সীমান্তবর্তী ১৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মিয়ানমারের ভেতরে সীমান্ত এলাকায় ব্যাপঁক গোলাবর্ষণ চলছে,আর এপারে আতংক উৎকন্ঠায় জীবনযাপন করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।