বিষ বাগান! সামান্য অসাবধানতায় হারায় প্রাণও
মোহনা রিপোর্ট
ফুল গাছ আর প্রকৃতি ভালোবাসেন না এমন মানুষের জুড়ি মেলা ভার। জন্মের উষালগ্ন থেকেই মানুষ আর প্রকৃতির মাঝে রয়েছৈ গভীর বন্ধুত্ব। মানুষ প্রকৃতির কাছে থাকতে ও যেতে ভালোবাসেন। কিন্তু ইংল্যান্ডে এমন একটি বাগান আছে যেখানে আপনি যেতে পারবেন না নিতে পারবেন না গাছ অথবা ফুলের ঘ্রাণ, বিরত থাকতে হবে কোন ফল খাওয়া কিংবা ধরা থেকে।
ইংল্যান্ডের নর্থাম্বার ল্যান্ডের অ্যালান উইক গার্ডেনের রয়েছে এই বিশেষ বাগানটি। যা ‘পয়জন গার্ডেন’ বা ‘বিষের বাগান’ নামে পরিচিত ।নিষিদ্ধ সেই বাগানের গেটে ঝুলানো কালো সাইনবোর্ডে কালো অক্ষরে বড়ো বড়ো করে লেখা, ‘এই বাগানের গাছপালা আপনার কেড়ে নিতে পারে প্রাণ’।
গল্পটি নেহাত হেঁয়ালি বা রসিকতা নয়। বাগানো ঢূকলে আক্ষরিক অর্থেই কয়েক মুহূর্তের মধ্যে কোনো ব্যক্তির প্রাণ কেড়ে নিতে পারে এই বাগান। যদিও এ বাগানে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষনা করা হয় আবার সাধারণ দর্শকদের প্রবেশেরও অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু বাগানে প্রবেশ করলে সঙ্গে নিতে হবে গাইড। কারণ, সামান্য ভুলই কেড়ে নিতে পারে যে-কারোর প্রাণ।
২০০৫ সালে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করেই এই বিষাক্ত বাগান তৈরি করেছিলেন ব্রিটিশ উদ্ভিদবিদরা। এই বাগানে কোনো ফুল-ফলের গন্ধ বা স্বাদ নেওয়া যেমন সম্পূর্ণ নিষেধ, তেমনই নিষেধ গাছের পাতায় স্পর্শ করা। তবেু গবেষণা বলছে প্রতি বছর কয়েকশো পর্যটক অজ্ঞান হয়ে যান এই বাগানে।
এই বিষের বাগানে সবমিলিয়ে প্রায় ১০০টিরও বেশি বিষাক্ত ও নারকোটিক উদ্ভিদ রয়েছৈ।ক্যাস্টার বিন নামের বিশেষ একটি গাছটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত উদ্ভিদের স্বীকৃতি দিয়েছে খোদ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডই,যা রয়েছ এখানে।
তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় এই বিষের বাগান তৈরি করা হয়েছে কেন? দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকলেও কেনই বা সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় সাধারণ পর্যটকদের?
ব্রিটিশ গবেষকদের অভিমত, সাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতেই এই উদ্যোগ। কারণ আমাদের চারপাশে এমনই অনেক বিষাক্ত উদ্ভিত রয়েছৈ যা আমারা জানিনা। অথচ সেগুলো মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যেমন, রডোডেনড্রনের পাতা পাকস্থলীতে চলে গেলে তৎক্ষণাৎ স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে এমনকি এর আশেপাশে থাকা অন্য প্রজাতির গাছও মরে যায়।