আন্তর্জাতিক

মেয়ের চেষ্টোয় ৫০ বছর বয়সে ফের বিয়ের পিঁড়িতে মা

অনলাইন ডেস্ক

সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এখন এক মা ও মেয়ের চর্চা। আসলে এই গল্পে মায়ের আবার বিয়ে দিলেন মেয়ে। মেয়েটির বয়স যখন ২ বছর তখন তার বাবা মারা যান। তারপর মা একাই মেয়েকে বড় করেন। এবার মেয়ের কথায় আবার বিয়ে করতে রাজি হলেন মা।

সব রকমের ব্যবস্থা করে, রীতি নীতি পালন করে, নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মায়ের বিয়ে দিলেন মেয়ে। তার এই উদ্যোগ এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

স্বামীর মৃত্যুর পর এই  মহিলা দীর্ঘদিন একাকী জীবনযাপন করছিলেন। কিন্তু তার মেয়ে দ্বিতীয় বিয়ের জন্য মহিলাকে অনুপ্রাণিত করতে থাকেন এবং এখন ৫০ বছর বয়সে তিনি তার মাকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করাতে সফল হয়েছেন। মেয়ে বলেন এখন আমার মা খুব খুশি এবং অনেক উপভোগ করেন।

ভারতে শিলঙের মেয়ে দেবারতি রিয়া চক্রবর্তীর কীর্তিতে মুগ্ধ নেটিজেনরা। ইনস্টাগ্রামে তিনি আছেন দেব আরতি রিয়া চক্রবর্তী নামে। শেয়ার করেছেন বিয়ের প্রস্তুতি ও বিয়ের ভিডিও।

ক্যাপশনে দেবারতি লিখেছেন- আমি আমার জীবনে এরকম সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী মহিলা আর দেখিনি। তুমি আমাকে প্রতিদিন অনুপ্রাণিত কর। আমি যা কিছু আজ হতে পেরেছি, সবই তোমার জন্য। তুমি এক অসাধারণ নারী এবং আমি তোমার জন্য শুধু ভালবাসা ও আনন্দ কামনা করতে পারি। নতুন জীবনে মাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।

বিয়ের কনের সাজেও মাকে যে দারুণ দেখতে লেগেছে, সে কথাও জানাতে ভোলেননি দেবারতি।

চলতি বছর মার্চে মায়ের বিয়ে দেন দেবারতি। বাবা ছিলেন শিলঙের ডাক্তার। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারনে তার মৃত্যু হয়। মাত্র ২৫ বছর বয়সে স্বামী হারন তবে মেয়ের কথা ভেবে, তার মুখের দিকে তাকিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেননি দেবারতির মা মৌসুমী চক্রবর্তী। মেয়ের কথা ভেবে একাকিত্ব ও নিঃসঙ্গতাকেই সঙ্গী করে নিয়েছেন ওই নারী।

দেবরতী এখন মুম্বাইতে থাকেন। তিনি একজন ফ্রিল্যান্স ট্যালেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে দেবরতী বলেন, বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে  মায়ের অনেক সময় লেগেছে। প্রথমে আমি তাকে কারো সাথে বন্ধুত্ব করতে বললাম। শুরুতে শুধু বলেছিলাম অন্তত কথা বলো। বন্ধু বানাও।  তারপর আমি বললাম, এখন বিয়ে কর।

পশ্চিমবঙ্গের স্বপনকে বিয়ে করেছেন দেবরতীর মা। দুজনেরই বয়স এখন ৫০ বছর। দেবরতী বলেন, এটাই স্বপনের প্রথম বিয়ে। তিনি বলেন, বিয়ের পর মায়ের জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। তিনি এখন খুব খুশি। আগে সব কিছুতেই বিরক্ত হতেন। কিন্তু এখন সব কিছুতেই মজা করেন।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button