বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় অন্তত ২০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান ও সুত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাহিদ গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আজ শনিবার বেলা ১১টার পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজধানীর প্রবেশপথ গাবতলী, আব্দুল্লাহপুর, ধোলাইখাল, উত্তরা ও মাতুয়াইলে লাঠিসোটা হাতে জড়ো হতে থাকেন। এক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ সব সড়কে অবস্থান নেন দলটির নেতাকর্মীরা। যান চলাচল সচল ও জনদুর্ভোগ লাঘব করতে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও পুলিশের ব্যবহৃত যানবাহনে হামলা চালায়।
রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। অনেক জায়গায় গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এসময় অবৈধ সমাবেশ থেকে ৯০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ শনিবার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন রাজধানীর ঢাকার সকল প্রবেশ মুখে সকাল ১১টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে সকল রাজনৈতিক দলের অবস্থান কমসূচির ব্যাপারে অনুমতি দেয়নি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি না নিয়ে রাজধানীর প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি থেকে দলটির নেতাকর্মীরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর অতর্কিত হামলা, বাসে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়।