জাতীয়সংবাদ সারাদেশ

মাতারবাড়ি থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু

মোহনা অনলাই

জাতীয় গ্রিডে প্রাথমিকভাবে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ করার জন্য কয়লাভিত্তিক মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিট  চালু হয়েছে।

উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর আসলাম উদ্দিন বলেন, ‘জাতীয় গ্রিডের সাথে সফল সমন্বয়ের পর, সকাল ১১টা ৫৮ মিনিটে জাতীয় গ্রিডে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহও বাড়ানো হবে। এর মধ্য দিয়ে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটের প্রথমটি আজ থেকে ট্রায়াল রান শুরু হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বছরের ডিসেম্বরে ইউনিটটি নিয়মিত উৎপাদন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্ল্যান্টের সম্মিলিত উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ২শ’ মেগাওয়াট, আগামী মার্চ বা এপ্রিল মাসে পুরোদমে উৎপাদনের যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এটি পুরোপুরি চালুর পূর্ব পরিকল্পনা ছিল।
সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর অন্যতম মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি জাপানের সহায়তার মোট প্রায় ৫১ হাজার ৮শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এবং এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর অন্যতম।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, পুরো প্ল্যান্টে প্রতিদিন ১০ হাজার টন ও প্রতিটি ইউনিটে ৫ হাজার টন কয়লা প্রয়োজন হবে। এখন পর্যন্ত ২ লাখ টন কয়লা সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং ৬৫ হাজার টন আগামী ৭ আগস্ট উৎপাদন এলাকায় পৌঁছবে।
প্রকল্প পরিচালক জানান, জাহাজ থেকে সরাসরি ট্যাঙ্কে কয়লা আনলোড করার জন্য প্রকল্প এলাকায় দু’টি জেটির পাশাপাশি ১৭ লক্ষ টন স্টোরেজ ক্ষমতার চারটি ট্যাঙ্ক ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে।
ট্যাঙ্কগুলোর ৬০ দিনের জন্য কয়লা সংরক্ষণের সক্ষমতা রয়েছে। জাহাজ থেকে কয়লা আনলোড করতে দেড় থেকে দুই দিন সময় লাগবে।

কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়নে ১ হাজার ৬০৮ একর জমির ওপর স্থাপিত হচ্ছে এই ১২শত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র। যার খরচ হবে ৫২ হাজার কোটি টাকা। কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিএল) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

মাতারবাড়ি গভীর বন্দর ও মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র সাইটের কাছে এলএনজি ও এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৫ বছরের জন্য আজীবন ছাই সংরক্ষণের জন্য দু’টি পৃথক পুকুরে ছাই রাখা হচ্ছে। একটির আয়তন ৯০ একর ও অন্যটির ৬০০ একর জুড়ে বিস্তৃত। কয়লা সংরক্ষণের জন্য ৮০ একর জমিতে কোল ইয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার এবং জাইকার মধ্যে ১৬ জুন, ২০১৪ সালে একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে জাইকা ৪৩,৯২১ কোটি টাকা এবং অবশিষ্ট ৭,৯৩৩ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার ও পিসপিজিসিবিএল-এর নিজস্ব তহবিল থেকে প্রদান করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পের দু’টি অংশ আছে- যার একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও অন্যটি বন্দর।

 

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button