শনিবার রাত দশটায় তিনি রাজধানীর উত্তরায় ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলীয় আহত নেতাকর্মীদের দেখতে যান। তাদের খোঁজখবর নেওয়া শেষে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিব হাসান ও যুবলীগ সভাপতি ফজলে শামস পরশ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘শুক্রবার গন্ডগোল করতে পারে নাই বলেই বিএনপি শনিবার আমাদের দল যখন শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা করছিল তাদের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে, ৬০টির মতো বাস পুড়িয়েছে, পুলিশের গাড়িতে হামলা করেছে, রাতেও উত্তরার কাছে গাড়ি পুড়িয়েছে। অর্থাৎ তারা ২০১৪-১৫ সালের মতো আগুন সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে।’
তিনি জানান, ‘হাসপাতালটিতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে উত্তরা ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ কর্মী মহিবুর রহমান নয়নের হাতের কবজি কেটে ফেলার উদ্দেশ্যে বিএনপির সন্ত্রাসীরা চাপাতি দিয়ে কোপ দেয়। ডাক্তারেরা প্রায় বিচ্ছিন্ন কবজি বাঁচানোর প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন।’
এছাড়া স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে লিংকন কুমার দাস, ইসমাইল হোসেন দীপ, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বাবু, জহিরুল ইসলাম, আশিক মিরাজ, নাহিদ হাসান, মামুন এই হাসপাতালে ও অন্য আরেকটি হাসপাতালে মহারাজ, আকাশসহ আরও নেতা-কর্মীরা চিকিৎসাধীন, জানান হাছান মাহমুদ।
ঢাকাবাসীকে অবরুদ্ধ করে রাখার অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই রাজধানীর প্রবেশমুখে বিএনপি শনিবার অবরোধ বা অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছিল। এই ঢাকা শহর দুই কোটি মানুষের। তাদের অবরুদ্ধ করে রাখার অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি।’
হাছান বলেন, ‘বিএনপির উদ্দেশ্য নির্বাচন নয়, সংঘাত তৈরি করে দেশটাকে বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে তুলে দেওয়া। আমরা এ দেশের জনগণ তা হতে দিতে পারি না। বিএনপির অপরাজনীতি ঠেকাতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকবে, জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের প্রতিহত করবে।’