ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গতরাতে সিরিজ নির্ধারনী পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে হারায় ভারতকে। এতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতে নেয় ক্যারিবীয়রা।
২০১৭ সালের পর ভারতের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ ছাড়া এই প্রথমবার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলো ভারত।
২-২ সমতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লডারহিলে পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টি খেলতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারত। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় ভারত। আগের দিন, সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে ১৬৫ রান যোগ করেছিলেন ভারতের দুই ওপেনার শুভমান গিল ও জয়সওয়াল। তবে এ ম্যাচে ১৭ রানের মধ্যে প্যাভিলিয়নে ফিরেন তারা। জয়সওয়াল ৫ ও গিল ৯ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার আকিল হোসেনের শিকার হন।
তৃতীয় উইকেটে ভারতের রানের চাকা সচল রাখেন সূর্যকুমার যাদব ও তিলক ভার্মা। ৩০ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়েন তারা। ১৮ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৭ রান করা তিলককে ফিরতি ক্যাচে বিদায় করে জুটি ভাঙ্গেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্পিনার রোস্টন চেজ।
মিডল অর্ডারে সঞ্জু স্যামসনকে ১৩ ও অধিনায়ক হার্ডিক পান্ডিয়াকে ১৪ রানে ফিরিয়ে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসার রোমারিও শেফার্ড। অন্যপ্রান্তে ৩৮ বলে টি-টোয়েন্টিতে ১৫তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন সূর্য। আউট হওয়ার আগে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৫ বলে ৬১ রান করেন সূর্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেফার্ড ক্যারিয়ার সেরা ৩১ রানে ৪ উইকেট নেন।
জবাবে দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১০ রান করা কাইল মায়ার্সকে শিকার করেন পেসার অর্শদীপ। মায়ার্স ফেরার পর ক্রিজে কিংয়ের সঙ্গী হন নিকোলাস পুরান। ভারতীয় বোলারদের উপর চড়াও কিং পুরান জুটি।
এতে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৬১ রান পেয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
কিং ও পুরানের দৃঢ়তায় ১১তম ওভারে শতরান স্পর্শ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৩তম ওভারে ছক্কা দিয়ে ৩৩ বলে টি-টোয়েন্টিতে সপ্তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন কিং।
দ্বিতীয় উইকেটে ৭২ বলে ১০৭ রানের জুটি গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের ভিত গড়ে দেন কিং-পুরান জুটি।
৫টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৫৫ বলে অপরাজিত ৮৫ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন কিং। ম্যাচ সেরা হন স্বাগতিক শেফার্ড। সিরিজ সেরা একই দলের হন পুরান।
৩-২ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ করলো ভারত। তবে এর আগে সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে এবং তিন ম্যাচের ওয়ানডে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে ভারত।