খেলাধুলা

বাফুফের নতুন সভাপতি কে হচ্ছেন

টানা ১৬ বছর শাসনের পর শেষ হয়েছে কাজী সালাউদ্দিনের অধ্যায়। এবার নতুন সভাপতি পেতে চলছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নতুন সভাপতি পেতে যাচ্ছে দেশের ফুটবল। আগামী চার বছরের জন্য কার হাতে উঠছে বাফুফের দায়িত্ব সেটা নির্ধারণ করবেন বাফুফের ১৩৩ জন কাউন্সিলর।

আজ সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে কংগ্রেস। এই কংগ্রেস শেষে নির্বাচন শুরু দুপুর ২টায়। দুপুর থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

নির্বাচনে সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সদস্য—এই চার পদে মোট ২১ জন নির্বাচিত হবেন। তবে এর মধ্যে একজনের নিশ্চিত হয়ে গেছে। সেটি হলো সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ। গত ২০ অক্টোবর এই পদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন তরফদার রুহুল আমিন। তৃতীয় কোনো প্রার্থী না থাকায় সরাসরি সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন অপর প্রার্থী ইমরুল হাসান। সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়ে গেছেন, সেহেতু কাল নির্বাচনে বাফুফের ১৩৩ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সদস্য—পদের জন্য লড়াই করা প্রার্থীদের।

এবারের নির্বাচনে নেই সাবেক বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। আগেই জানিয়েছেন, তিনি আর এই পদে নির্বাচন করবেন না। তাই এবার সভাপতি পদে লড়াই করছেন দুজন। দুইবারের সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে লড়াইটা দিনাজপুরের ক্রীড়া সংগঠক মিজানুর রহমানের। এই দুজনের মধ্যেই একজন হবেন নতুন বাফুফে সভাপতি।

এ ছাড়া, চারটি সহ-সভাপতি পদের জন্য ছয়জন এবং ১৫টি সদস্য পদের জন্য ৩৭ জন প্রার্থী লড়াই করবেন। এবারের নির্বাচনেও বাফুফের বিদায়ী নির্বাহী কমিটিতে থাকা আটজন লড়াই করছেন। বাকি ২৯ জনের মধ্যে বেশির ভাগ এবারই প্রথম নির্বাচন করছেন।

এবার ভোটদাতা কাউন্সিলর তালিকায় জেলা ফুটবল সংস্থা থেকে এসেছেন ৫৮ জন, প্রিমিয়ার লিগের ১০ ক্লাবের ১০ জন, ৮টি বিভাগীয় ফুটবল সংস্থা থেকে ৮ জন, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ৫ ক্লাবের ৫ জন, প্রথম বিভাগের ১৮ ক্লাবের ১৮ জন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের ৮টি করে ক্লাবের ১৬ জন। তাছাড়া সেই সঙ্গে আছে এবারই প্রথম যুক্ত হওয়া নারী লিগের শীর্ষ ৪ ক্লাবের ৪ জন। আছেন ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ জন ও ৫ শিক্ষা বোর্ড থেকে ৫ জন প্রতিনিধি। এ ছাড়া রেফারি, কোচেস অ্যাসোসিয়েশন ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থা কাউন্সিলর আছেন একজন করে।

নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে মেজবাহউদ্দিনকে। এর আগের চার নির্বাচনেও তিনি একই দায়িত্বে ছিলেন। তার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাখা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব সুরাইয়া আক্তার জাহান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এহসানুর রহমান।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button