থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ১৫ বছর নির্বাসিত জীবন শেষে ফিরে এলে বিমানবন্দরেই তাকে গ্রেফতার করো হয়। তিনি নিজ দলীয় প্রার্থীকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশে পার্লামেন্ট ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন।
ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রা ব্যাংককের ডন মুয়েং বিমানবন্দরে সকাল ৯টায় (গ্রিনীচ মান সময় ০২০০ টায়) একটি ব্যক্তিগত জেটে অবতরণ করেন। এসময় শ’ শ’ ‘লাল শার্ট’ পরিহিত সমর্থকরা ব্যানার নেড়ে ও গান গেয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমান বন্দরে ভিড় জমায়।
থাকসিন টার্মিনাল বিল্ডিং থেকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বের হলে এবং সমর্থকদের প্রতি শ্রদ্ধার চিহ্ন হিসেবে রাজা মহা ভাজিরালংকনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক মালিককে পুরানো একটি ফৌজদারি মামলায় জেলে যাওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়ায় সময় তার সমর্থকরা লাল শার্ট পরিধান করে সারিবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামে।
তার প্রত্যাবর্তনে পার্লামেন্ট ফেউ থাই পার্টির নেতৃত্বে একটি জোটের প্রধান হিসেবে বিজনেস টাইকুন ও থাকসিনের রাজনৈতিক আন্দোলনের সর্বশেষ অনুসারি স্রেথা থাভিসিনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বসাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৭৪ বছর বয়সী থাকসিনকে তার অনুপস্থিতিতে চারটি ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হলে তার ১০ বছরের জেল হয়। তবে তার বিরুদ্ধের একটি মামলার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
থাকসিন কতদিন কারাগারে থাকতে পারেন তা স্পষ্ট নয়। তার প্রত্যাবর্তনের পর অনেকে অনুমান করছেন, তার দল ক্ষমতা গ্রহণ করার সাথে সাথে তার প্রতি নমনীয়তা প্রদর্শনের জন্য একটি ‘অবৈধ চুক্তি’ করা হয়েছে।