ঢাকাই চলচ্চিত্রের খল অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের এক পাগল ভক্ত অভিনেতার জন্য বানিয়েছেন ২৫ লাখ টাকার রাজকীয় খাট। সেই ভক্তের নাম দুলাল মিয়া। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফার্নিচার ব্যবসায়ী। তিনি সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের মীরহাটি এলাকার আবদুর সাত্তার মিয়ার ছেলে। তিনি খল অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের অন্ধ ভক্ত।
জানা যায়, দুলাল ভালোবেসে ডিপজলকে ডাকেন ‘মামা’। এদিকে ডিপজলের এই অন্ধ ভক্তের খাট তৈরির খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক মানুষ তার দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডিপজলের প্রতি ভালোবাসা থেকে ২৫ লাখ টাকা খরচ করে ৩ বছর ৮ মাসে নিজ হাতে তৈরি করেছেন বিশাল খাট। খাটটির দৈর্ঘ্য সাড়ে ৮ ফুট এবং প্রসস্থ সাড়ে ৬ ফুট। খাটটি তৈরি করতে আসল আকাশি কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া নকশায় ব্যবহার করতে হয়েছে ৩৮৭টি গোলাপ ফুলের ডিজাইন ও বিভিন্ন অংশ সংযোগ করতে ব্যবহার হয় ৮০টি নাট। এ খাট দেখতে প্রতিদিনই অসংখ্য উৎসুক মানুষ আসছেন দুলালের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। দুলালের ইচ্ছে চলচ্চিত্র অভিনেতা ডিপজল এ খাট উপহার হিসেবে গ্রহণ করবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. জয়নাল বলেন, দুলাল আমাদের এলাকার ছোট ভাই। অভিনেতা ডিপজলকে ‘মামা’বলে ডাকেন। তার প্রতিটি সিনেমা দুলাল দেখেছেন। ডিপজলের কোনো পোস্টার পেলেই দোকানে এনে লাগাতেন। ডিপজলের প্রতি ভালবাসা থেকেই এ খাট তৈরি করেছেন তিনি। দুলালের এ খাটটি ডিপজল প্রহণ করলে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। পাপন নামের আরেক যুবক বলেন, যে কোনো জায়গায় ডিপজলের সিনেমার খবর পেলেই সেখানে চলে যেতেন দুলাল। সে ডিপজলের অন্ধ ভক্ত। কারও সাথে কথা বললেও ডিপজলের শুধু প্রশংসাই করেন। তিনি আরও বলেন, অনেকটা গোপনে এ কাজ করেছেন দুলাল। কাউকে সামনে যেতে দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে সবার কৌতূহল ছিল।
দুলালের বড় ভাই মোহাম্মদ হুমায়ুন বলেন, আমার ছোট ভাই দীর্ঘ তিন বছর ৮ মাসে এই খাট ডিপজলের জন্যে তৈরি করেছেন। অনেকটা শখ করে খাটটি বানিয়েছে তিনি। এ খাটের উছিলায় যেন ডিপজলের সঙ্গে দুলালের দেখা হয় এবং এ খাটটি যেন তিনি উপহার হিসেবে গ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে ফার্নিচার ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া জানান, ২০০৮ সালে মনোয়ার হোসেন ডিপজল অভিনীত ‘দাদীমা’সিনেমা দেখার মাধ্যমে অভিনেতার প্রতি ভালোবাসার জাগে। এরপর থেকেই নিয়মিত ডিপজলের সিনেমা দেখা শুরু করেন তিনি। এক সময় নিজের অজান্তেই ডিপজলের একজন অন্ধ ভক্ত হয়ে যান দুলাল। এমনকি ভালোবেসে তিনি ডিপজলকে মামা নামে ডাকেন। তিনি আরও জানান, ডিপজল মামার প্রতি ভালোবাসার কারণে উনাকে নিজের হাতে বানিয়ে ভিন্ন কিছু উপহার দেওয়ার ইচ্ছে হয়। তাই ধীরে ধীরে দীর্ঘ ৩ বছর ৮ মাসে তাজমহলের ডিজাইনে খাটটি তৈরি করেছি। যদি ডিপজল মামা এই আমার বানানো ক্ষুদ্র উপহারটি গ্রহণ করেন এবং ওনার সাথে দেখা করা সুযোগ করে দেয় তাহলে জীবন ধন্য হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।