হোয়াইট হাউস মঙ্গলবার (০৫ সেপ্টেম্বর) হুঁশিয়ারি দিয়েছে, উত্তর কোরিয়া যদি ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করে, তবে উত্তর কোরিয়াকে ‘মূল্য দিতে হবে’। যদিও কিম জং উন এবং ভ্লাদিমির পুতিন এই বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞা-বিধ্বস্ত রাশিয়া তার বাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য তার মিত্রদের কাছ থেকে আরও সামরিক সরবরাহ সুরক্ষিত করতে আগ্রহী বলে জানা গেছে, কারণ কিয়েভ তার ভূখন্ড ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য একটি অত্যন্ত যাচাই-বাছাই করা পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, পিয়ংইয়ং এবং মস্কো রাশিয়ার অস্ত্রের চাহিদার বিষয়ে ‘নেতা পর্যায়ের আলোচনা, সম্ভবত ব্যক্তিগতভাবে’ নজর রাখছে। সুলিভান বলেছেন যে, রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র ব্যবহার করে খাদ্য সরবরাহ এবং শীতকালে অবকাঠামো আক্রমণ করতে পারে ‘অন্য একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের অন্তর্গত অঞ্চল জয় করার চেষ্টা করতে।’
তিনি আরো বলেছেন ‘এটি উত্তর কোরিয়ার উপর ভালভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে না এবং তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য মূল্য দিতে হবে।’
সুলিভান বলেছেন, যে এটি ‘অনেক কিছু বলে যে রাশিয়াকে উত্তর কোরিয়ার মতো একটি দেশের দিকে যেতে হবে।’
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জুলাই মাসে যুদ্ধের জন্য অতিরিক্ত অস্ত্র সংগ্রহের জন্য উত্তর কোরিয়া সফর করেছিলেন। মঙ্গলবার ক্রেমলিন বলেছে, তারা পুতিন এবং কিমের মধ্যে শীর্ষ বৈঠকটি নিশ্চিত করতে পারেনি। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন ‘এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই’।
‘তাস’ সংবাদ সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে শোইগু সোমবার বলেছিলেন, রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার সাথে যৌথ সামরিক মহড়ার কথা বিবেচনা করছে। ‘কারণ তারা আমাদের প্রতিবেশী।’