মেসি বিশ্ব ফুটবলের সম্পদ। সে সবচেয়ে বেশি ব্যালন ডি’ অর জেতা ফুটবলার হবে। সে পাঁচ, ছয়, সাতটা ব্যালন জিততে পারে।’ ২০১২ সালে লিওনেল মেসিকে নিয়ে এভাবেই মন্তব্য করেছিলেন ডাচ ফুটবলের কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ। টোটাল ফুটবলের জনক ক্রুইফের মেধা আর পাণ্ডিত্য নিয়ে সন্দেহ ছিল না কারোরই। কিন্তু মেসি এবার মিশনে আছেন সেই ভবিষ্যদ্বাণী ছাড়িয়ে যাবার।
ক্যারিয়ারে ৮ম বারের মত ব্যালন পাওয়ার দৌড়ে আছেন মেসি। ত্রিশ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় এসেছে তার নাম। তার সঙ্গে আছেন সিটির হয়ে ট্রেবল জেতা আর্লিং হালান্ড, বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া কিলিয়ান এমবাপেও। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রকাশিত ব্যালন ডি অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনজনেই।
প্রাথমিক তালিকা করার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ক্লাব এবং ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সকে। কাতারের বিশ্বকাপে সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি তাই এবারও মর্যাদার এই পুরস্কারের বড় দাবিদার। ইতিহাসের সবচেয়ে বেশিবার ব্যালন ডি’অর জেতা এই আর্জেন্টাইন তারকার হাতে হয়ত ৮ম বারের মতো উঠতে পারে প্রেস্টিজিয়াস এই অ্যাওয়ার্ড।
আর্লিং হালান্ডকে বলা যেতে পারে এই পুরস্কারের ক্ষেত্রে মেসির সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বি। গত মৌসুমে টানা গোল করেছেন। ভেঙেছেন একের পর এক রেকর্ড। ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে জিতেছেন আরাধ্য ট্রেবল। নরওয়ের এই তারকা কদিন আগেই মেসিকে টপকে উয়েফার বর্ষসেরা হয়েছেন। ব্যালন ডি’ অর পাওয়ার ক্ষেত্রে যা বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
তালিকায় অবশ্য বাদ গিয়েছে ফুটবল বিশ্বের বড় কিছু নাম। প্রজন্মের অন্যতম সেরা দুই তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং নেইমার জুনিয়রের নাম নেই এই তালিকায়। গেলবারের শীর্ষ দুইয়ে থাকা সাদিও মানে এবার নেই প্রাথমিক তালিকায়। তিনজনেই এখন চলে গিয়েছেন সৌদি আরবের লিগে। পাদপ্রদীপের আলো থেকে তাই অনেকটাই দূরে এই তারকারা।
২০০৪ সাল থেকে প্রতিবছর ব্যালন ডি’অরের ৩০ জনের তালিকায় ছিলেন রোনালদো। পাঁচবার এই পুরষ্কার জেতা পর্তুগিজ তারকা এবার বাদ পড়েছেন তালিকা থেকে। ইউরোপ ছেড়ে এখন সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে খেলছেন তিনি।