ড. রিচার্ড লাভ একজন মার্কিন নাগরিক । তিনি ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশে সক্রিয়ভাবে জড়িত। ড. রিচার্ড লাভ দীর্ঘদিন বাংলাদেশে ব্রেস্ট ক্যান্সার রিসার্চসহ দরিদ্র অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করছেন। সম্প্রতি ড. ইউনূস ও বিএনপি ইস্যুতে চিঠি ও বিবৃতি দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বৈশ্বিক ব্যক্তিত্ব। এসব ইস্যূতে সত্য নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করতে মার্কিন সিনেটরকে চিঠি দিয়েছেন ড. লাভ।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রকে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণের আন্তরিক আবেদন জানিয়ে উইসকনসিনের মার্কিন সিনেটর ট্যামি বাল্ডউইনকে চিঠি পাঠিয়েছেন ড. রিচার্ড লাভ। ট্যামি বাল্ডউইনকে লেখা চিঠিতে তিনি দেশের জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় সত্য ও নিরপেক্ষতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। শুধু তাই নয়, সিনেটর বাল্ডউইনের কাছে পাঠানো চিঠিতে তিনি বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেছেন।
চিঠিতে ড. লাভ দুইটি বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রথমত, নিউইয়র্ক টাইমসের সাম্প্রতিক একটি নিবন্ধকে পক্ষপাতদুষ্ট ও একতরফা উল্লেখ করেন এবং এটি বিএনপি’র ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও দলটির সহিংসতার প্রবণতা বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টাসহ বিএনপির দুর্নীতি ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে উপেক্ষা করা অপরিহার্য।
দ্বিতীয়ত, ড. লাভ মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযানে সম্বোধন করেছেন, কর ফাঁকির অভিযোগে হয়রানির প্রতিবাদ করেছেন, এই বিষয়ে মার্কিন নিরপেক্ষতার পক্ষে কথা বলেছেন। ড. লাভ তার চিঠিতে দুই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নিরপেক্ষ অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে এসব ইস্যুতে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে এই বিষয়গুলো আলোচনা সাপেক্ষে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। একজন আমেরিকান নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও ড. লাভের চিঠিটি একটি স্মারক হিসাবে কাজ করে। তিনি বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সত্য এবং নিরপেক্ষতা সম্পর্কে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন রয়েছেন।