জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় শহর ছাড়াও ছোট শহরগুলোতে বেড়ে চলেছে বায়ু দূষণ। কোনভাবেই যেন কমছে না এই দূষণ। এ শহর গুলোর তালিকায় সবার উপরেই আছে ঢাকার নাম। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বাতাসের স্কোর রয়েছে ১৪০। বৃষ্টি হলেও ঢাকার বায়ুমানে তেমন কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আবার উর্ধ্বগতিতে বাড়ছে বায়ু দূষণ।
তবে বৃষ্টির কারণে ঢাকার বায়ুমানে মাঝে মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসলেও আবার তাপদাহে তা বেড়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বায়ু দূষণের শহরের তালিকায় ঢাকা অবস্থান ৬তম নম্বর স্থানে অবস্থান করছে। যদিও চলতি বছরের শুরু থেকে জুন পর্যন্ত বায়ু দূষণের শীর্ষে ছিল ঢাকা। বৃষ্টি হওয়ায় মাঝে মাঝে ঢাকার দূষণে হেরফের হচ্ছে। তবে পরিমাণ মত বৃষ্টি কম হওয়ায় আবার তা বেড়েও যায়।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকার বাতাসের স্কোর রয়েছে ১৪০। যা দূষণের দিক থেকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে গণ্য করা হয়। আর দূষণের ৬তম স্থানে অবস্থান করছে।
এ সময় বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১৬৯ স্কোর নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর দুবাই। আবার ১৬৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে সাউথ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ, তৃতীয় স্থানে রয়েছে ১৬১ স্কোর নিয়ে
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। আর ১৪৯ স্কোর নিয়ে চর্তুথ স্থানে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মালয়েশিয়ার কুচিং ১৪২ স্কোর নিয়ে। ৬ষ্ট স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ; যার বাতাসের স্কোর ১৪০ আর।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। আর ১৪৯ স্কোর নিয়ে চর্তুথ স্থানে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মালয়েশিয়ার কুচিং ১৪২ স্কোর নিয়ে। ৬ষ্ট স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ; যার বাতাসের স্কোর ১৪০ আর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এ তালিকা প্রকাশ করে থাকে প্রতিনিয়ত।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এদিকে ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।