মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোববার জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি চীনকে ধারণ করতে চান না। ক্ষমতাধর এই দুই দেশ বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য, নিরাপত্তা এবং অধিকারের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে মুখোমুখী হওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি এমন কথা বলেন।
বাইডেন বলেন, তিনি নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেন এবং ‘স্থিতিশীলতা’ নিয়ে আলোচনা করেন। তবে এই সাক্ষাতের বিষয়টি হোয়াইট হাউস ঘোষণায় ছিল না। প্রেসিডেন্ট হ্যানয়ে এই সাক্ষাতের কথা প্রকাশ করেন। সেখানে দিনের শুরুতে তিনি ভিয়েতনামের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার একটি চুক্তিতে সম্মত হন কারণ বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে ওয়াশিংটন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশে মিত্রদের নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করতে চায়।
ওয়াশিংটন এবং বেইজিং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে। বাইডেন আন্তর্জাতিক শৃংঙ্খলাকে চীনের পক্ষে নেওয়ার প্রচেষ্টা চালানোয় বেইজিংকে অভিযুক্ত করেছেন।
বাইডেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বর্তমানে যে ইস্যুগুলো চলমান তার মধ্যে একটি হলো চীন বাণিজ্য এবং অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে গেমের কিছু নিয়ম পরিবর্তন করতে শুরু করেছে।’
ওয়াশিংটন ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের সাথে কোয়াড সিকিউরিটি ডায়ালগ এবং ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে অকাস চুক্তিসহ দেশটির ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশ হিসেবে জোট গঠনে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে।
তবে তিনি জোরদিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনকে ধারণ করতে চাইছে না। তারা বরং সম্পর্কের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট মৌলিক নিয়ম প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।
বাইডেন বলেন, ‘আমি চীনকে ধারণ করতে চাই না। আমি কেবলমাত্র এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, চীনের সাথে আমাদের একটি সম্পর্ক রয়েছে।’
আঞ্চলিক এবং অন্যান্য ইস্যুতে বেইজিং ও দিল্লির বাদানুবাদের কারণে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জি-২০ সম্মেলন এড়িয়ে যান।