দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে জামিন দেয়নি চেম্বার কোর্ট।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম আমানের পক্ষে আনা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আদেশ দেন।
চেম্বার কোর্ট আমানের জামিন আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে প্রেরণ করে আগামী ২০ নভেম্বর শুনানির জন্য ধার্য রেখে আদেশ দেয়। আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
দুর্নীতির মামলায় সাজার বিরুদ্ধে গতকাল আপিল দায়ের করেন বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান। আপিল আবেদনে তিনি জামিন প্রার্থনা করেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ওইদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ উচ্চ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আমান। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর একই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান। আদালত জামিন নামন্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ৫ সেপ্টেম্বর চেম্বার কোর্ট বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ক্যান্সারের রোগী বিবেচনায় ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে জামিন দেন। পরে তিনি কারামুক্ত হন। সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ মামলা রুজু করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরা আমানকে তিন বছরের কারাদন্ড দেন সংসদ ভবনে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন।
পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।
গত ৩০ মে হাইকোর্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদন্ড বহাল রেখে রায় দেন।