জাতীয়

কুয়েতগামী বিমানে উঠে পড়া সেই শিশু এখন শিকলবন্দি

মোহনা অনলাইন

পাসপোর্ট-বোর্ডিং পাস ছাড়াই রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়েতগামী বিমানে উঠে দেশজুড়ে আলোচনায় আসা শিশু জুনায়েদ মোল্লাকে বাড়িতে শিকলবন্দি করে রাখা হয়েছে। রাজধানীর বিমানবন্দর থানা থেকে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে জুনায়েদকে বাড়িতে আনা হয়।

 

জানা যায়, বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আবারও পরিবারের সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় জুনায়েদ। অনেক খোঁজাখুঁজি করে শেষ পর্যন্ত তাকে পাওয়া হয়। পরে ধরে এনে তাকে শিকলবন্দি করে রাখা হয়।

 

জুনায়েদ মোল্লা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের পারইহাটি গ্রামের ইমরান মোল্লার ছেলে। ইমরান মোল্লা পেশায় একজন সবজি ব্যবসায়ী। গত সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি বিমানে উঠে পড়ে জুনায়েদ মোল্লা।

 

পরিবারের সদস্যরা জানান, এর আগেও কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের যাওয়ায় জুনায়েদকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হতো। জানা যায়, ইমরান মোল্লার প্রথম পক্ষের ছেলে জুনায়েদ। কয়েক বছর আগে তার মা অন্যত্র চলে যায়। এরপর থেকে সে সৎমায়ের কাছে বড় হতে থাকে।

 

বিমানবন্দরের সব নিরাপত্তা রক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমানে উঠে পড়া জুনায়েদ মোল্লা জানায়, কোনো কিছু না ভেবে শখের বসে বিমানে উঠেছিল সে। বিমানে উঠতে যে পাসপোর্ট-বোর্ডিং পাস-ভিসা লাগে, বিষয়টি তার জানা নেই। সে ভুল করে বিমানে উঠে পড়েছিল বলে জানায়।

 

ইউসুফ মোল্লা জানান, জুনায়েদের বিমানে উঠে পড়ার ব্যাপারে আমরা কিছুই জানতাম না। সম্প্রতি বিমানবন্দর থানা থেকে আমাদের ফোন করা হলে বিষয়টি জানতে পারি। এরপর তাকে বিমানবন্দর থানা থেকে নিয়ে আসা হয়।

 

বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সোমবার রাত ৩টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়েতগামী কুয়েত এয়ারওয়েজের ওই ফ্লাইট (কেইউ-২৮৪) উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় একটি ছেলেশিশু বিমানের ভেতরে করিডোরে হাঁটাহাঁটি করছিল। কেবিন ক্রু তাকে সিটে বসার পরামর্শ দেন। তখন বিমানের কয়েকটি আসন খালি থাকায় ওই শিশুটি একটিতে বসে পড়ে। কিছুক্ষণ পর পাশের আসনের যাত্রী তাকে তার মা-বাবার কাছে গিয়ে বসতে বলেন। কিন্তু শিশুটি তার মা-বাবার বিষয়ে কোনোকিছু বলতে পারছিল না।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button