পাবনায় নির্মাণাধীন দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০২৫ সালের মধ্যে চালু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ তথ্য জানান তিনি।
বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা ২৮ হাজার ১৩৪ মেগাওয়াট উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১১ হাজার ৬০৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও ৩০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। ২০২৩-২০২৬ সালের মধ্যে এগুলো পর্যায়ক্রমে চালু হবে। দুই হাজার ৪২৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে। আর দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন। ২০২৫ সালের মধ্যে এটি চালু হবে বলে আশা করা যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার প্রায় ১৫ বছর ধরে দেশে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করে চলছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার লক্ষ্যে জ্বালানি বহুমুখীকরণ অর্থাৎ গ্যাস/এলএনজি, কয়লা, বিদ্যুৎ আমদানি, তরল জ্বালানি, নিউক্লিয়ার এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেয়া হয়।
এ পরিকল্পনাগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়নের ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট থেকে পাঁচ গুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়ে আজ ২৮ হাজার ১৩৪ মেগাওয়াটে (ক্যাপটিভ, অফ-গ্রিড নবায়নযোগ্য ও জীবাশ্ম জ্বালানিসহ) উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে ভারত থেকে ২ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ভবিষ্যৎ বিদ্যুৎ চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, এর মধ্যে নির্মাণাধীন এবং দরপত্র প্রক্রিয়াধীনসহ মোট ১৪ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ পরিকল্পনাগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।