বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে। বিদ্যুৎ ও তেলের দাম তিন-চারবার করে বেড়েছে। তারপরও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে এই সরকার ব্যর্থ।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বগুড়া সদরের এরুলিয়া বাজারে রোডমার্চের উদ্বোধনের আগে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়বাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এই রোডমার্চ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
এ সময় সরকারকে চোর আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, চোর চোর, এত বড় চোর যে এই দেশকে চুরি করে ফোকলা (শূন্য) করে দিয়েছে। চুরি করে তারা বিদেশে বাড়িঘর নির্মাণ করেছে। সবচেয়ে বড় চুরি করেছে কি? আমার দেশের ভোটের অধিকার চুরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, রোডমার্চের উদ্বোধনী পথসভায় আমাদের অধিকার আদায় করতে হবে। এজন্য রাজপথে দাঁড়াতে হবে। আমাদের এক দফা, এক দাবি। ভোটের অধিকার ও শেখ হাসিনার পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। কিন্তু বিরোধী দল যাতে নির্বাচনে না আসতে পারে সেজন্য আগেই মিথ্যা মামলা দিয়ে রাখছে। আমার ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবক দল, যুবদল এই তরুণদের বলব ভোটের অধিকার ছিনিয়ে আনতে হবে তোমাদের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, তুমি সরকারে থাকলে কোনোদিন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তুমি পদত্যাগ করো। হয় সংসদে পদত্যাগ করো, নয়তো নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করো।
পরে রোডমার্চের উদ্বোধন ঘোষণা করে বিএনপির ৪০ লাখ নেতাকর্মীর নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিনকে টুকু প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এর আগে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বগুড়া থেকে রাজশাহীগামী তারুণ্যের রোডমার্চ কর্মসূচিতে যোগ দিতে সকাল থেকেই বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, নাটোর জেলার হাজার হাজার নেতাকর্মী বাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মোটরসাইকেল নিয়ে এরুলিয়া এলাকায় জমায়েত হতে থাকে।
উল্লেখ্য, রোডমার্চটি বগুড়ার সান্তাহার, নওগাঁ হয়ে রাজশাহী গিয়ে শেষ হবে। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।