রাজধানীর শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধরের সত্যতা পেয়েছে পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে কমিটি।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদনে এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা আফরিনসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে। এছাড়া এডিসি সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক এবং ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদেরও দায় পাওয়ার কথা জানিয়েছে কমিটি।
তদন্ত কমিটি সূত্র বলছে, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেসন্স) বিপ্লব কুমার সরকার জানান, এ ঘটনায় গঠিত কমিটি তদন্ত শেষ করেছে। প্রতিবেদন ধরে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন ডিএমপি কমিশনার।
গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি (সাসপেন্ড) হারুন-অর-রশীদ ও আরেক সরকারি কর্মকর্তা আজিজুল হক মামুনের হাতাহাতি ঘটনার ঘটে। আরেক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আজিজুল হক মামুনের স্ত্রী সানজিদা আফরিনকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। এর জেরে কেন্দ্রীয় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে নির্যাতনের ঘটনার অভিযোগ ওঠে।