প্রায় ১০০ বছর আগে নির্মিত ভারতের লোকসভা ভবনে শেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো সোমবার। ১৯২৭ সালে নির্মিত ভবনটিতে আর বসবে না কোনো অধিবেশন। এখন থেকে নতুন ভবনে কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খবর এনডিটিভির
ভারতের নতুন পার্লামেন্টে মঙ্গলবার প্রথম অধিবেশন বসবে। পুরনো ভবন পুরাতত্ত্ব বিভাগের হাতে চলে যাবে।
পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়েছে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পুরনো সংসদ ভবনের শেষ অধিবেশন ছিল। ৯৬ বছরের পুরনো ভবন নিয়ে আবেগতাড়িত ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ব্রিটিশ আর্কিটেক্ট লুটিয়েনের তৈরি ওই গোল ভবনে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে প্রথম স্বাধীন ভারতের বক্তৃতা দিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু। ওই ভবনেই ভারতীয় সংবিধান গ্রহণ করা হয়।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পুরনো ভবনের সেন্ট্রাল হলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। তিন বর্ষীয়ান ব্যক্তিত্বকে সেখানে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা শিবু সোরেন এবং বিজেপি সাংসদ মানেকা গান্ধী। পুরনো ভবনে সমস্ত সাংসদদের নিয়ে ফোটোসেশনের পর প্রধানমন্ত্রী মোদী সংবিধানের একটি কপি হাতে নিয়ে নতুন পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করবেন বলে জানা গেছে। তার পিছনে সমস্ত সাংসদেরা নতুন ভবনে প্রবেশ করবেন।
সোমবারের ভাষণে মোদী জানিয়েছেন, সাত হাজার ৫০০ সাংসদ ১৯২৭ সাল থেকে পুরনো ভবনে বসেছেন। তাদের প্রত্যেকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন তিনি। বস্তুত, জায়গার অভাব এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণেই নতুন সংসদ ভবন তৈরি করা হয়েছে। তিন কোণা নতুন ভবন পুরনো ভবনের চেয়ে অনেকটাই আলাদা দেখতে। সবরকম নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার আছে নতুন ভবনে। সব সাংসদের জন্য আলাদা চেম্বারও রাখা হয়েছে নতুন ভবনে।
গত মে মাসে নতুন সংসদ ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছিল। রাষ্ট্রপতিকে সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রী তার উদ্বোধন করেছিলেন। যা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। যেভাবে হিন্দু সন্ন্যাসীদের উপস্থিতিতে সংসদের উদ্বোধন হয়েছিল, তা নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল। বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছিল পার্লামেন্ট ভবনে রাজদণ্ড বা সেঙ্গোল প্রতিষ্ঠার বিষয়টি নিয়েও। এছাড়াও পার্লামেন্ট ভবনে যে অবিভক্ত ভারতের মানচিত্র বসানো হয়েছে, তা নিয়েও কোনো কোনো দেশ আপত্তি তুলেছিল।