ঢাকাবিনোদনসংবাদ সারাদেশ
মুন্সিগঞ্জে দেশের প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক “মানা বে” উদ্বোধন
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার দেশের প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক ‘মানা বে” আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় শুরু হয় বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওপেনিং প্যারেড, ওয়ারিয়র ড্যান্স, হাক্কা ড্যান্স ও স্টিল্ট ওয়াকিং পারফরম্যান্সসহ একটি প্রাণবন্ত কার্নিভালের আয়োজন করা হয়।
সম্পূর্ণ ব্রিটিশ বিনিয়োগে এসিএস টেক্সটাইলের মালিকানায় পরিচালিত এই ওয়াটার পার্ক দর্শনার্থীদেরকে অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা দিতে ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে দাবী করেন উদ্যোক্তারা। প্রকল্পটিকে বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে স্বনামধন্য রাইড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হোয়াইটওয়ার্টার।
এদিকে বিকেলে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কে আসলো কে গেলো দেখার বিষয় নয়, সুন্দর সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এর জন্য যা যা প্রয়োজন আমাদের সরকার সে উদ্যোগ নিয়েছে। যারা ভূল ধারনা নিয়ে রয়েছে , তাদের ভূল ধারনা অচিরেই কেটে যাবে। আগামীতে সুষ্ঠু সুন্দর এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।
বর্তমান সরকার বিনিয়োগকারীদের জন্য পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়ে উল্লেখ্য করে দেশের প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক উদ্বোধন এর বিষয়ে বক্তব্য বলেন, দেশ এগিয়ে চলছে, এগিয়ে চলার সাথে সাথে বিনোদনেরও প্রয়োজন রয়েছেন। ঢাকার খুব সন্নিকটে হওয়ায় এই পার্ক বহু মানুষের বিনোদনের জায়গা তৈরি করবে। সরকার এ ধরনের প্রতিষ্ঠান তৈরি করেনা, তবে উদ্যোক্তাদের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়। বর্তমান সরকারের বিনিয়োগকারীরা সে পরিবেশ সৃষ্টি করে দিচ্ছে এটিই বড় সাফল্য।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ওভাইস আকবানি।
প্রায় ৬০,০০০ স্কয়ার মিটার বিস্তৃত পার্কটিতে সকল বয়সের মানুষের জন্য বৈচিত্র্যময় সব আয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তিনটি ওয়াটার স্লাইড ট্যুর, একটি ওয়েভ পুল, ফ্লোরাইডার ডাবল, বাচ্চাদের জন্য একটি আলাদা জোন ও একটি কৃত্রিম নদী।
মানা বে-এর স্বত্বাধিকারী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওভাইস আকবানি বলেন, “মানা বে-এর লক্ষ্য হলো ওয়াটার পার্কের চেয়েও বেশি কিছু হয়ে ওঠা। এটি এমন একটি প্রাণবন্ত প্রতিষ্ঠান হতে চায় যেখানে সবাই একই সাথে কাজ, খেলাধুলা ও জীবনের উচ্ছ্বাস নিয়ে বাঁচতে পারে। আমরা এমন একটি রীতি তৈরিতে সচেষ্ট যা দর্শনার্থীরেদকে আনন্দ দেবে।