আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের ওপর নির্ভরশীল। জনগণই আমাদের শক্তি। অন্য কোনো দেশ নয়। আওয়ামী লীগের মনোবলের কোন ঘাটতি নাই। বিএনপির থাকতে পারে।
তিনি বলেন, “ভিসা নীতি ও কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞাকে আওয়ামী লীগ পরোয়া করে না। অবাধ শান্তিপূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচন যারা চায়, তাদের ভিসা নীতি নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।
সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দেশে ফিরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। উল্লেখ্য, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি সিঙ্গাপুর যান।
ভিসা নীতিতে বিএনপিরই ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “ভিসা নীতিতে ক্ষতি হয়েছে বিএনপির। তারা এখন যদি নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করে তারাই ভিসা নীতিতে পড়েবে। প্রথমে ভিসা নীতি নিয়ে বিএনপি উচ্ছ্বাস করলেও শেখ হাসিনার সঙ্গে বাইডেনের দুই সেলফিতে তাদের আন্দোলনের লাফালাফি শেষ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই সেলফিতেই রাজনীতির ফয়সালা হয়ে গেছে। দুই সেলফির পরেই বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে গেছে।”
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শান্তিপূর্ণ অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায়। যারা নির্বাচন চায় না, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের আন্দোলনের বারোটা বেজে গেছে ভিসা নীতিতে, তারা এখন হতাশা থেকে সব কিছুতেই ইস্যু কিংবা আনন্দ খুঁজে বেড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ চায় বিএনপিসহ সব দল নির্বাচনে আসুক। তবে যারা নির্বাচনের বিরোধিতা করবে তাদেরকে জনগণ প্রতিহত করবে। নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপি দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে দেশকে সংঘাতের ঠেলে দিচ্ছে বিএনপি। নির্বাচন হবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নিয়মে. সংবিধান অনুযায়ী। ভোট দেবে দেশের জনগণ। এখানে কেউ পর্যবেক্ষক পাঠাবে কিনা সেটি তাদের বিষয়, কোনো পর্যবেক্ষক এলে তাদেরকে সহায়তা করা হবে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি মরণ কামড় দিতে গিয়ে নিজেরাই মরার দশায় পরেছে কিনা সেটিই দেখার বিষয়। তাদের নিজেদের আন্দোলন এখন দমে গেছে। আওয়ামী লীগের শক্তি দেশের জনগণ।