ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত তারকা দম্পতি শরীফুল রাজ ও পরীমনির বিচ্ছেদের খবর কয়েকদিন ধরে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে। অনেক ঘটনার পরে ভেঙে গেছে রাজ-পরীর সংসার।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন পরীমনি। ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অভিনেত্রী। সেই পোস্টে রাজের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগও এনেছেন পরীমনি।
পরীমনির অভিযোগের বিপরীতে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে রাজ বলেন, ‘আমরা কেউই কিন্তু শিশু নই। আমার স্বার্থটাই বা কিসের। আমি যেহেতু ভয়ংকর মানুষ, সেই ভয়ংকর মানুষকেই তো দেখছি বিয়ে করল, সংসার করে বাচ্চাও নিল! আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে ভালো কথা, কিন্তু আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার না করলে ভালো হয়। কারণ, আমারও একটা পরিবার আছে। সেখানে মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী সবাই আছেন। একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমি বিয়ের পর পরী বা বাবুকে ছাড়া অন্য কিছু ভাবিনি।’
সংসার জীবন নিয়ে রাজ জানান, এক বছর তিনি কাজ থেকে দূরে ছিলেন। কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। যতটুকু পেরেছেন স্ত্রী ও সন্তানের যত্ন করার চেষ্টা করেছেন। রাজ বলেন, ‘আমাকে নিয়ে পরীর এ ধরনের মিথ্যাচার করার সুযোগ নেই। আমি এমন কিছু করিনি, যার জন্য প্রশ্নবিদ্ধ হতে হবে। আমি বারবার হেনস্তা হয়েছি। এসব নিয়ে আর বলতেও চাই না। তবে এখন পরী যেটা চাচ্ছে, সেটার প্রতি শ্রদ্ধা আছে। সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে। এর বাইরে অন্য অভিযোগ এলে তা আমি প্রশ্রয় দিতে চাই না।’
এরআগে গত ২০ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরীমনি লিখেছিলেন, ‘সরি বলা, না খেয়ে থাকা, পা ধরে মাফ করে দাও আর হবে না, এমনকি সুইসাইড এর মতো হুমকিতেও ব্ল্যাকমেলের শিকার হতে হয়েছে আমাকে! … সে কখনোই সম্পর্কটাকে ওউন করেনি। নিজের স্বার্থে ইউজই করে গেল প্রতিনিয়ত! আমি এমন ভয়ংকর একজন মানুষকে বার বার সুযোগ দিয়েছি।… আমার সাথে যে অন্যায়গুলো করেছে তাতে তার জেল হওয়ার কথা।’
তবে পরীমনির অভিযোগের বিপরীতে এই কয়দিন রাজ ছিলেন নিশ্চুপ। অবশেষে পরীর ডিভোর্স লেটার পাঠানোর চার দিন পর মুখ খুললেন অভিনেতা। স্বীকার করেছেন ডিভোর্স লেটার প্রাপ্তির বিষয়টি। পরীমনির বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন রাজ। পরীর এই সিদ্ধান্তকেও সম্মান জানান তিনি। এখন আইনগতভাবে এগোচ্ছে রাজ-পরীর বিচ্ছেদের কার্যক্রম।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে একে অপরকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বিয়ে করেন পরীমনি ও রাজ। তবে খবরটি প্রকাশ্যে আনেন ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এর পর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। গত বছরের ১০ আগস্ট পরীমনির কোলজুড়ে আসে রাজ্য। সন্তান জন্মের বছরখানেকের মাথায় ভেঙে গেল রাজ-পরীর সংসার।