ইসরাইলী সেনাবাহিনী শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গাজা উপত্যকায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
ইসরাইলের ইরেজ-ক্রসিং বন্ধের প্রতিবাদে সীমান্তে ফিলিস্তিনীদের টানা বিক্ষোভ চলছে। শনিবারও এ বিক্ষোভকালে ইসরাইলী হামলায় তিন ফিলিস্তিনী আহত হয়েছে। এ অবস্থার মধ্যেই ইসরাইলী বাহিনী গাজায় একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে।
হামলা প্রসঙ্গে ইসরাইলী বাহিনী বলেছে, যেখানে সহিংস দাঙ্গা চলছে তার সংলগ্ন এলকায় হামাস সন্ত্রাসী সংগঠনের সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে ফিলিস্তিনী নিরাপত্তা সূত্র হতাহতের কোন উল্লেখ না করে বলেছে, গাজা শহরের পূর্বাঞ্চলে হামাসের নজরজারি এলাকায় ইসরাইল বিমান হামলা চালিয়েছে।
অন্যদিকে দিনের শুরুতে ফিলিস্তিনী বিক্ষোভকারীরা সীমান্ত বেড়ার কাছে অবস্থান নেয়া ইসরাইলী সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। এসময় বিক্ষোভকারীরা টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং সৈন্যদের দিকে ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সময়ে ইসরাইলের গুলিতে তিনি ফিলিস্তিনী আহত হয়েছে। হামাস গ্রুপ ২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে ইসরাইল দরিদ্র এ ফিলিস্তিনী অঞ্চলের আকাশ, স্থল ও সমুদ্র অবরোধ করে রেখেছে।
এদিকে ইরেজ ক্রসিং বন্ধ করে দেয়ায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনী শ্রমিকের ইসরাইলে গিয়ে কাজ করার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। একে ইসরাইলী এনজিও গিশা সামষ্টিক শাস্তি হিসেবে বর্ণনা করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে সীমান্তে সহিংসতায় ছয় ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় একশ।