সন্ধ্যায় মাকে জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা জানাল ছেলে। ১৫ বছর বয়সী ছেলের এমন কথায় চোখে-মুখে অন্ধকার দেখেন মা। ছেলের খোঁজে সব জায়গায় তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালান। সব চেষ্টা ব্যর্থ হলে মধ্যরাতেই পুলিশের দ্বারস্থ হন। অবশেষে বাড়ির নিচতলায় ছেলেকে পান মা। তবে জীবিত নয়, মৃত।
গতকাল সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের হায়দরাবাদে এ ঘটনা ঘটে। শহরের রায়দুরগাম এলাকার একটি আবাসিক ভবনের ৩৫ তলা থেকে ওই কিশোর লাফিয়ে পড়লে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ওই কিশোরের নাম রেয়াংশ। সে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। তার বাবা সুরেশ কুমার রেড্ডি একটি ফাইন্যান্স ফার্মের বিশ্লেষক। রেয়াংশ তার দুই ছেলের মধ্যে বড়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় মা স্বরূপা রেড্ডিকে ম্যাসেজ করে আত্মহত্যার কথা জানায় রেয়াংশ। এরপর তার খোঁজে সব জায়গায় তল্লাশি করেন তিনি। কোথাও না পেয়ে পুলিশের কাছে ছেলে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন স্বরূপা।
ওই ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ জানায়, রেয়াংশ ভবন থেকে বের হয়নি। সে ভেতরেই আছে। এরপর মঙ্গলবার ভোরে বাড়ির নিচতলায় তৃতীয় গেটের কাছ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীনিবাস বলেছেন, এ ঘটনায় তারা একটি সন্দেহজনক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। এ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক ও ছেলেটির বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ১৫ বছর বয়সী এই কিশোর ভিডিও গেমে অনেক সময় ব্যয় করত। এ জন্য সে পড়াশোনা নিয়ে বেশ চাপে ছিল। ফলে শেষমেশ এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মাধপুর ডিসিপি গোন সন্দীপ এনডিটিভিকে বলেছেন, এই ছেলের অনলাইন গেমে আসক্তির কোনো লক্ষণ নেই। এমন পদক্ষেপ সে কেন নিয়েছে, তা জানা যায়নি। সম্ভবত পড়াশোনার কারণে হতে পারে।