মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে সাজা ভোগ করার পর মঙ্গলবার (০২ অক্টোবর) দেশে ফিরেছে ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের পর তারা টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছে।
ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং এর সিটওয়ে কনস্যুলেটের অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলে দীর্ঘ ১৮ মাস পর সর্বশেষ প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়েছে। এর আগে গত বছরের ২৩ মার্চ মিয়ানমার থেকে ৪১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে প্রত্যাবাসন করা হয়েছিল।
ফেরত আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে ২৩ জন কক্সবাজার জেলার, চারজন বান্দরবান জেলার এবং দুজন রাঙ্গামাটি জেলার।
বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমারে প্রবেশের অভিযোগে বিজিপি এসব বাংলাদেশিকে আটক করেছিল।
বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন ১০ সদস্যের বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন। হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলাকালে প্রতিনিধি দলে সিটওয়েতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জাকির আহমেদ ছিলেন।
মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন গত ২৭ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়ার পায়ের সাথে নে পি ত নগরীতে দেখা করেন এবং উল্লিখিত বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের অনুরোধ করেন।
এ বৈঠকের পর মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ০৩ অক্টোবর প্রস্তাবিত পতাকা বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেপ্তার হওয়ার তথ্য পাওয়ার পরই ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশের দূতাবাস তাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য ও জাতীয়তা যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে।