ভোটাভুটিতে হেরে গেলেন কেভিন ম্যাকার্থি। তিনি আর মার্কিন হাউসের স্পিকার নন। স্পিকারের পদ হারিয়েছেন ম্যাকার্থি। ২৩৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার তার দলেরই আনা প্রস্তাবে হেরে গেলেন। ম্যাকার্থি ২১৬-২১০ ভোটে হেরেছেন।
এক প্রতিবেদনে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতার ভোটে ম্যাকার্থিকে স্পিকার পদ থেকে পদচ্যুত করা হয়।
ভোটাভুটিতে কেভিন ম্যাকার্থির বিপক্ষে গিয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদের ২১৬ জন সদস্য। তাদের মধ্যে ২০৮ জন ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট দলের। বাকি ৮ জন ম্যাকার্থির নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির সদস্য। অন্যদিকে তার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ২১০ জন আইনপ্রণেতা।
এর আগে সোমবার (২ অক্টোবর) সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ফ্লোরিডা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজ কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে ম্যাকার্থিকে পদচ্যুত করার প্রস্তাব আনেন।
ম্যাট গেটজের এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কেভিন ম্যাকার্থি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘বিষয়টি সামনে আনুন।’ জবাবে গেটজ লিখেছেন, ‘শুরু করেছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম আরও ৪৫ দিনের জন্য চালু রাখা ও শাটডাউন এড়াতে একেবারে শেষ মুহূর্তে মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষে তহবিল বিল পাসের পর থেকে কেভিন ম্যাকার্থি বেশ আলোচনায় ছিলেন।
অর্থ বিল নিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলের দ্বন্দ্বের জেরে শাটডাউনের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার। তবে শেষ মুহূর্তে গত শনিবার গভীর রাতে মার্কিন কংগ্রেসে বিল পাসের মাধ্যমে এ যাত্রায় শাটডাউন এড়ান দেশটির আইনপ্রণেতারা। এজন্য কংগ্রেসে স্টপগ্যাপ বিল পাস করান স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি। ম্যাট গেটজও মূলত এ বিল পাস করানোর কারণে ম্যাকার্থির ওপর ক্ষিপ্ত। এজন্য তিনি এমন প্রস্তাব এনেছেন।
ওই সময় স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি ৪৫ দিনের এ তহবিল বিলের প্রস্তাব দেন। পরে তা কংগ্রেসের উভয় কক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস ও সিনেটে যথাক্রমে ৩৩৫-৯১ ও ৮৮-৯ ভোটে পাস হয়। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সই করলে বিলটি আইনে পরিণত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্টের পরই তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্পিকারের পদ। আইন প্রণয়ন, কংগ্রেস কমিটির কার্যভার নিয়ন্ত্রণ এবং হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের এজেন্ডা তৈরি কিংবা বাতিলের ক্ষমতাও রাখেন তিনি।
এর আগে, ১৫ দফার চেষ্টায় মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার নির্বাচিত হন কেভিন ম্যাকার্থি। সে সময় যেসব রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা তার বিরোধিতা করেছিলেন তাদের মধ্যে ম্যাট গেটজ অন্যতম।