আন্তর্জাতিক

ইসরাইলের হামলায় রয়টার্সের সাংবাদিক নিহত

মোহনা অনলাইন

লেবাননে দখলদার ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হামলায় ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক ফটো সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আল জাজিরা, রয়টার্স, এপিসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, রয়টার্স নিশ্চিত করেছে ইসরাইলের হামলায় তাদের এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন এবং তার নাম ইশাম আব্দুল্লাহ। রয়টার্সের এক মুখপাত্র বলেছেন, এ ঘটনায় তারা ‘গভীরভাবে মর্মাহত’ হয়েছেন।

এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, ‘ইশাম দক্ষিণ লেবাননে কাজ করা রয়টার্সের ক্রুদের সঙ্গে সরাসরি সিগন্যাল দেওয়ার কাজ করছিলেন। আমরা এ মুহূর্তে আরও তথ্য সংগ্রহ করছি। ওই অঞ্চলের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছি এবং ইশামের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি।’

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলের এ হামলায় রয়টার্সের অপর দুই সাংবাদিক আল-সুদানি এবং মাহের নাজেহ আহত হয়েছেন। এখন তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) আহত সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালন করতে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তের আলমা আস-সাবে গিয়েছিলেন। ওই সাংবাদিকরা রয়টার্স, আল জাজিরা এবং এপির ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একটি ট্যাংক থেকে তাদের উপর সরাসরি গোলা ছোড়ে। সেখানকার অবস্থা ভয়াবহ ছিল।

আল জাজিরা আরও জানিয়েছে, হামলার শিকার সাংবাদিকরা সবাই ‘প্রেস’ লেখা সংবলিত নিরাপত্তা ভেস্ট পরে ছিলেন। তারা একটি খোলা স্থানে ছিলেন এবং জায়গাটি একটি পাহাড়ের উপরে ছিল। যারা সেখানে নজরদারি চালাচ্ছিল, লক্ষ্য রাখছিল তারা সবাই স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছিলেন, ওই দলটি সাংবাদিকদের দল ছিল।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদক আলী হামেস লেবানন থেকে জানিয়েছেন, তার দুই সহকর্মী গুরতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তারা এক প্রিয় বন্ধুকে এই হামলায় হারিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হঠাৎ করেই সেখানে একটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ হয় এরপর চারপাশ ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়।

ওই ভিডিওতে এক নারীকে বলতে শোনা যায়, ‘কী হয়েছে? আমি আমার পা অনুভব করতে পারছি না।’ ওই সময় পাশে এক পুরুষের কণ্ঠস্বর শোনা যায়।

এদিকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত ১০ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রেস গেজেট।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button