সম্ভাব্য হামলার আগে গাজা উপত্যকার মানবিক গ্রুপ গুলোকে আল-কুদস হাসপাতাল এবং পাঁচটি স্কুল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। অন্যথায় পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ত্রাণ সংস্থাসমূহ একথা জানিয়েছে।
গাজার আল-আহলি আল-আরাবি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে বোমা হামলায় ৪৭১ জন লোকের প্রাণহানির প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে শুক্রবার এ হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
‘দ্য ফিলিস্তিন রেডক্রিসেন্ট’ জরুরি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, তারা দখলদার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আল কুদস হাসপাতালে বোমা হামলা চালানোর হুমকি পেয়েছে।
রেডক্রিসেন্ট আরো জানিয়েছে, ইসরায়েল হাসপাতাল খালি করার যে নির্দেশ দিয়েছে তাতে চারশ’ রোগী এবং ১২ হাজার বাস্তুচ্যুত লোক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এসব বাস্তুচ্যুতরা নিরাপদ স্বর্গ ভেবে হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিল।
রেডক্রিসেন্টের বিবৃতিতে আল আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালের মতো আরেক গণহত্যা এড়ানোর লক্ষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে ও জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা বলেছে, ইসরায়েল তাদের যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব পাঁচটি স্কুল খালি করে দেয়ার কথা বলেছে। এ সকল স্কুলই গাজা শহরে হাসপাতালের কাছে অবস্থিত।
আল-কুদস হাসপাতালটি গাজার তেল আল-হাওয়া এলাকায় অবস্থিত। ২০০৯ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতালটি পরে পুনঃর্নিমাণ করা হয়।
এর আগে ১৪ অক্টোবর স্থানীয় সময় সকাল ছয়টার মধ্যে হাসপাতালটি খালি করতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নির্দেশ দিয়েছিল বলে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তবে এটা সম্ভব নয় বলে তখন সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।