১৮তম দিনে গড়িয়েছে আরব বিশ্বের দুই দেশ ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ। ইসরায়েলি বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১৫ হাজারের বেশি। ২৩ লাখের বেশি মানুষের এই অঞ্চলে ইসরায়েল খাবার, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে পূর্ণ অবরোধ আরোপ করায় চরম মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। এত কিছুর পরও এখনই গাজায় যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য এখনই সঠিক সময় নয়।
সোমবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, এখনই যুদ্ধবিরতির সময়, এমনটা আমরা মনে করি না। ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। হামাস নেতাদের ধরতে তাদের এখনও কাজ করতে হবে।
অন্যদিকে পৃথক আরেক প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, এই মুহূর্তে আমরা গাজায় মানবিক ত্রাণসহায়তা দেওয়ার বিষয়ে জোর দিব। এই যুদ্ধ দেখভালের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ডেভিড স্যাটারফিল্ডকে দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। মানবিক সহায়তা দিতে তিনি নিবিড়ভাবে কাজ করছেন। এ ছাড়া বেসামরিক মানুষদের প্রাণহানি এড়াতে গাজার ভেতরেই নিরাপদ জায়গা বের করতে আমরা কাজ করছি।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া ভোটের আয়োজন করলে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের বিরোধিতায় তা পাস হয়নি।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকেই তেলআবিবের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধের মধ্যেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পর্যন্ত ইসরায়েলে ছুটে গেছেন। ইসরায়েলের সহায়তায় মধ্যপ্রাচ্যে দুটি অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী ও দুই হাজার নৌসেনা পাঠিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। এরপর এবার সেখানে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠানোর কথা জানিয়েছে ওয়াশিংটন।