চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর দুই প্রান্তকে যুক্ত করা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল খুলে দেওয়া হচ্ছে যান চলাচলের জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকালে এ টানেলের উদ্বোধন করেন, পরদিন যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে ৩.৩১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সুড়ঙ্গপথ।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, টানেলে কোন কোন যানবাহন চলবে, তা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি দিয়ে থ্রি হুইলার ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না।
এছাড়া, ১২ ধরনের যানবাহনের জন্য টোলহার প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। কর্ণফুলী নদীর ওপর দিয়ে নির্মিত শাহ আমানত সেতুর বিবেচনায় টানেলের এই টোলহার নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, টানেলে সেতুর তুলনায় আড়াই থেকে ছয় শতাংশ বেশি টোল প্রস্তাব করা হয়েছে। টানেলের টোল কালেকশনে আনোয়ারা প্রান্তে স্থাপন করা হয়ে প্লাজা। যেখানে একসঙ্গে ১৪টি যানবাহন টোল দিতে পারবে।
কোন গাড়ির টোল কত
সেতু কর্তৃপক্ষের নির্ধারণ করা টোল অনুযায়ী, টানেলে প্রাইভেটকার ও জিপ চলাচলে দিতে হবে ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ২৫০ টাকা, পিকআপ ২০০ টাকা, ৩১ বা তার চেয়ে কম সিটের বাস ৩০০ টাকা এবং ৩২ বা তার চেয়ে বেশি আসনের বাস চলাচলে দিতে হবে ৪০০ টাকা।
পাঁচ টন ধারণক্ষমতার ট্রাক থেকে টানেলে টোল নেওয়া হবে ৪০০ টাকা, পাঁচ থেকে আট টনের ট্রাকে ৫০০ টাকা এবং আট থেকে ১১ টনের ট্রাক থেকে ৬০০ টাকা টোল আদায় করা হবে।
এছাড়া তিন এক্সেল পর্যন্ত ট্রাক চলাচলে টানেলে টোল দিতে হবে ৮০০ টাকা এবং চার এক্সেল পর্যন্ত ট্রেইলারকে এক হাজার টাকা এবং চার এক্সেলের বেশি হলে প্রতি এক্সেলের জন্য ২০০ টাকা করে বেশি দিতে হবে।
টানেল চালুর পর এর ভেতর দিয়ে বছরে ৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করতে পারবে। সেই হিসাবে দিনে চলতে পারবে ১৭ হাজার ২৬০টি গাড়ি। ২০২৫ সাল নাগাদ টানেল দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ২৮ হাজার ৩০৫টি যানবাহন চলাচল করবে। যার মধ্যে অর্ধেক থাকবে পণ্যবাহী পরিবহন। ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতিদিন গড়ে ৩৭ হাজার ৯৪৬টি এবং ২০৬৭ সাল নাগাদ এক লাখ ৬২ হাজার যানবাহন চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে।