সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বিতর্কিত সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাকে রাজধানী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘উপদেষ্টা’ পরিচয়ে ইংরেজিতে বক্তব্য দেন মিয়ান আরাফি নামে এক ব্যক্তি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলটির নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন এবং সাভারের রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপকভাবে পরিচিতি পাওয়া সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী।
শনিবার সন্ধ্যায় ইশরাক হোসেনের সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওই ব্যক্তির সংবাদ সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে হৈ চৈ সৃষ্টি হয়।
বিএনপির সমাবেশ ও সংঘাত ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধিদল ওই এলাকা পরিদর্শন করেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ খবর নাকচ করে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
রোববার বিকেলে ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করে আরাফিকে। পরে তাকে ডিবির হাতে তুলে দেয় তারা। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি। মিয়ান আরাফিকে বিএনপির নেতারাই শিখিয়ে এনেছিলেন বলে জানান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।
হারুন বলেন, বিমানবন্দর থেকে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে বিএনপি নেতারা শিখিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি সব কথা স্বীকার করেছেন। তিনি একজন প্রবাসী।
পরে রাতে আরাফির বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অভিযোগে মো. মহিউদ্দিন সিকদার নামে এক ব্যক্তি এ মামলা করেন। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়। বাকি দুজন হলেন: বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসান সারওয়ার্দী।
এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে আরাফিকে ইতিমধ্যেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।