প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “সাংবাদিকদের ওপর যারা সন্ত্রাসী হামলা করেছে তাদের মুখোশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরতে হবে। সাংবাদিক, পুলিশ ও হাসপাতালে হামলাকারীদের কোনোভাবেই রক্ষা হবে না।”
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “৩০ জন সাংবাদিক সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলেন; দেশের তথাকথিত সুশীল ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠনগুলো চুপ কেন?”
“যারা একটু বিবৃতি দেয়, তারা এখন কোথায়? ফ্রান্সের রিপোর্টার্স উইদআউট বর্ডার ৩০ জন সাংবাদিকের ওপর হামলায় চুপ কেন? আমাদের সুশীল বাবুরা কই এখন? কিছু একটা হলেই সুশীল বাবুরা চিৎকার করে উঠে। সেই সুশীলদের কাজ কি আওয়ামী লীগের দোষ খুঁজে বেড়ানো? আর আওয়ামী লীগের কেউ কিছু করলে সেটাকে বড় করে দেখানো? চোর, ডাকাত, গ্রেনেড হামলাকারী, অস্ত্র চোরাকারবারীদের কোনো অপরাধ নেই! মানবাধিকার লংঘনকারীদের অপরাধ নেই! তারা চুপ কেন?”
শেখ হাসিনা বলেন, “আমার মনে হয়, সাংবাদিকদের মাটিতে ফেলে পেটানোর ন্যাক্কারজনক ঘটনা বাংলাদেশে আর হয়নি। এটা কেন করা হলো? সে প্রশ্নের জবাব তো বিএনপিকে দিতে হবে। পুলিশের ওপর অত্যাচার, এর আগেও আমরা দেখেছি। পুলিশকে মাটিতে ফেলে পেটানো হচ্ছে, শুধু পেটানো না, বেহুঁশ হয়ে গেছে, তারপরও মারা হচ্ছে, কোপানো হচ্ছে, সমানে ডিল মারা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে আসছে, এত ইট-পাথর কোথায় পেলো?”
যারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে আন্তর্জাতিকভাবে তাদের মুখোশ উন্মোচনে এ সময় আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট্রে দশ কোটি টাকা অনুদান প্রদানের ঘোষণাও দেন তিনি।
বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে এই সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন।