বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ৬ দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালতে আমীর খসরুকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে ডিবি কার্যালয়ে প্রেস বিফ্রিংয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছিলেন, পুলিশ হত্যা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আদালতে নিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
ডিআইজি হারুন জানান, পুলিশ হত্যা ও সহিংসতায় ইন্ধনদাতারা গ্রেফতার হচ্ছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ডিবির গুলশান জোন রাজধানীর গুলশান ২ এর ৮১ নাম্বার রোডের ৮/এইচ এর বাসায় অভিযান চালিয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের দিন আমীর খসরুর গুলশানের ৮১ নম্বর সড়কের ওই বাসা ঘিরে ফেলে ডিবির পুলিশের সদস্যরা। গ্রেফতারের পর রাত ১টা ১৫ মিনিটে তাকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। গত ২৮ অক্টোবরের নাশকতা মামলায় আমীর খসরুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করে বিএনপি। মহাসমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা অনেকে সরকারবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এরপর দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
এ সময় কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালানো হয়। এক পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গত রোববার (২৯ অক্টোবর) বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা হয়।
এ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও আহমেদ আজম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীকে আসামি করা হয়।
এরপর থেকে দলটির প্রায় সব নেতাই আত্মগোপনে ছিলেন। মামলার পরই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়। এই মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এরপর দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের উভয়কে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আমির খসরুও একই মামলার আসামি হওয়ায় এবার আদালতের মাধ্যমে তাকেও রিমান্ডে নিল পুলিশ।